সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে দেশজুড়ে সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে। এই সময় থেকে গণপরিবহন ও শপিংমল বন্ধ রেখে এবং অফিস-আদালতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়ে সীমিত পরিসরে চালু রাখা হয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে মাঠ পর্যায়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই সীমিত লকডাউন শেষ হবে ১ জুলাই সকাল ৬টায়। এরপর কঠোর লকডাউনে যাবে গোটা দেশ। সেই দিন থেকে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী।
সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর পর যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। বিনা কারণে ঘরের বাইরে বের হলেই গ্রেপ্তার করবে পুলিশ। যাদের অফিস খোলা বা কর্মস্থলে যেতে হবে, তাদের অবশ্যই পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।
যাদের পরিচয়পত্র নেই, তাদের পুলিশের মুভমেন্ট পাস বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতিপত্র দেখাতে হবে।
দুই একদিনের মধ্যেই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিষয়টি পরিস্কার করে নোটিশ দেওয়া হতে পারে।
রবিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ডিএমপির ইউনিট প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে লকডাউন কার্যকরে পুলিশের করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা চাই ১ জুলাই থেকে মানুষ বিনা কারণে যেন ঘরের বাইরে বের না হন। উপযুক্ত কারণ ছাড়া বের হলেই গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হবে। এ ছাড়া ঢাকার সব প্রবেশপথে চেকপোস্ট থাকবে। সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
মেনে সবাইকে বের হতে হবে। নির্দেশনার ব্যতয় ঘটলে আইনি ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। নিষেধাজ্ঞা না মানলে বল প্রয়োগ করতেও পুলিশ পিছপা হবে না।
পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে এবার রাজধানী ঢাকার প্রবেশ ও বাহির পথগুলোয় কড়াকড়ি থাকবে। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে সার্বিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।