বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী খন্দকার মোশতাক। আর পর্দার আড়ালে থেকে এই খুনি মোশতাকের এক নম্বর সহযোগী হয়ে ১৫ আগস্টে হত্যাকাণ্ডের সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে জিয়াউর রহমান।
কমিশন গঠন করে দেশি-বিদেশি চক্রের সাহায্যে সংগঠিত ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সকল নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। খুনি মোশতাক ও খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার করে ফাঁসি দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশ উল্টো পথে চলতে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের গগণবিদারী ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানকে বাংলাদেশ জিন্দাবাদে পরিণত করা হয়।
জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামিদের মাফ করে দেয়। যুদ্ধাপরাধী ও কুখ্যাত রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করে। ইনডেমনিটি আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ দেয়।
২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী খালেদাও ক্ষমতায় এসে রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায় ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড, জেল হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্টের খুনিরা একই। এদেশে আপামর জনসাধারণের মূল্যায়নে ইতিহাস বিকৃতিকারী খুনিরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্তি হয়েছে।
আরো বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তি ও সবুজ বিপ্লবের ডাক দিলেন তখনই ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হত্যা করে। পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির অন্তপ্রাণ। তিনি ১৯৭৪ সালে শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য পুত্র শহীদ শেখ কামালের হাত ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার ভিত্তি তৈরি হয়।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আওয়ামী শিল্পগোষ্ঠী আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান চৌধুরী লাভলু, কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলো ও স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী শিবু রায়।