খুনীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়াতে জিয়ার মতো বেগম জিয়াও অপরাধী বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী’ উপলক্ষে প্রগতিশীল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ (ভাসানী) ওই আলোচনা সভা আয়োজন করে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব খন্দকার মোশতাক আর তার প্রধান সহযোগী হচ্ছে জিয়াউর রহমান। তাই আজকে দাবি উঠেছে, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, কুশীলবদের তো বিচার হয় নাই।
জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পটভূমি রচনা করেছেন, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার আর কুশীলবদের মধ্যে যারা এখনো বেঁচে আছে, তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দরকার। ইতিহাসের স্বার্থেই তা প্রয়োজন।
বেগম জিয়া ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি পাতানো নির্বাচন করার পর বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী কর্নেল রশীদকে বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে তার গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে দিয়েছিলেন, মন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। এতো বছর পরে বলা নাই কওয়া নাই বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ করে ১৯৯৫ সালে ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করলেন, তারপর থেকে কেক কাটা শুরু করলেন।
এগুলো ফৌজদারি অপরাধ। এই অপরাধে বেগম খালেদা জিয়াও অপরাধী।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচন প্রয়োজন এবং হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া, হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করা ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন করার অপরাধে বেগম খালেদা জিয়ারও বিচার হওয়া প্রয়োজন। এটি সময়ের দাবি।
অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রগতিশীলদের মধ্যে যখনই অনৈক্য তৈরি হয়, তখনই প্রতিক্রিয়াশীলরা সুযোগ করে নেয়। ১৯৭৫ সালে এভাবেই প্রতিক্রিয়াশীলরা সুযোগ করে নিয়েছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে প্রগতিশীলদের অনৈকের সুযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়াশীলরা ক্ষমতা দখল করেছে, ছোবল মেরেছে।
স্বাধীনতার প্রশ্নে, অসামপ্রদায়িকতার প্রশ্নে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে, যে মূলমন্ত্রের ভিত্তিতে আমাদের পূর্বসূরিরা দেশ রচনা করে গেছেন, স্বাধীনতার সেই মূলভিত্তিগুলোকে সংরক্ষণ করার স্বার্থে আমাদের মধ্যে অবশ্যই ঐক্য প্রয়োজন।