কারবালায় যেভাবে নির্মম হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল তেমনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল।
কারবালার হত্যাকাণ্ডেও নারী শিশুদের হত্যা করা হয়নি কিন্তু ১৫ আগস্ট নারী শিশুরাও রক্ষা পায়নি। জাতির পিতার অপরাধটা কী ছিল- একটি দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, একটি জাতিকে আত্ম-পরিচয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন? এটাই কী তার অপরাধ ছিল?
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশকে এগিয়ে নিতে জাতির পিতা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (র.) ও তাঁর পরিবারবর্গ কারবালার প্রান্তরে শাহাদত বরণ করেন।
সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তাঁদের এ আত্মত্যাগ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরের আলো ফোটার আগেই বাঙালি জাতিকে মুক্তির আলো দেখানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল চক্রান্তকারী কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য। ঘাতকরা সেদিন নারী ও শিশুদেরও রেহাই দেয়নি, যা ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে কারবালার মতো আরও একটি ঘটনা ঘটে। জিয়াউর রহমানের প্রশ্রয়ে এতে সাহস পেয়েছিল ঘাতকরা। কারবালার হত্যাকাণ্ডে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নারী ও শিশুরাও রক্ষা পায়নি।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে একটি সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্র তার সম্ভাবনা হারিয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করেছিল, তখনই ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটানো হয়। তিনি আদর্শভিত্তিক সংগঠন গড়ে তুলতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।