২৫ মার্চ কালো রাতে সারাদেশে প্রতীকী “ব্লাক আউট” কর্মসূচি পালন করবে সরকার। বাতি নিভিয়ে সারাদেশের মানুষকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ ১১ মার্চ বুধবার সচিবালয়ে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে বাতি নিভিয়ে প্রতীকী “ব্ল্যাক আউট” পালন করবো। তবে জরুরি স্থাপনা বা কেপিআই যেমন হাসপাতাল এবং অন্যান্য স্থানে যেখানে ব্লাক আউট করলে অসুবিধা হবে এবং চলমান যানবাহন এর বাইরে থাকবে। এই কর্মসূচি পালনের সময় ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা সারাদেশে সেটা পালন করার জন্য দেশবাসীকে অনুরোধ করছি এবং পালন করার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আমরা গণহত্যা দিবসকে স্মরণ করে এই প্রতীকী কর্মসূচি পালন করবো।
২৫ ও ২৬ মার্চ পালনকালে ব্যাপক জনসমাবেশ আমরা নিরুৎসাহিত করছি। ওই দিবস উপলক্ষে কোনো আউট ডোরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ওভারহেড তোরণ কিছুই হবে না। সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান বাইরে কোনো কিছুই হবে না।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে এবারের আয়োজন সীমিত করা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা নিরুৎসাহিত করবো বেশি করে জনসমাগম, তবে নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের কোনো ঘাটতি থাকবে না। আমরা নিরাপত্তার ব্যাপারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা থাকবে।তবে উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম না করার জন্য আমরা নিরুৎসাহিত করছি। এটা করোনা ভাইরাসের জন্য, এটা যাতে আর না ছড়ায়। ২৬ মার্চ আরো দেরি আছে, সিচ্যুয়েশন যদি ইমপ্রুভ করে তখন দেখা যাবে।
সারাদেশে একই সময়ে তোপধ্বনি করতে হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি একেক জেলায় একেক সময় হয়, কেউ ৫ মিনিট পরে করে কেউ ২ মিনিট পরে করে, আগে করে এরকম; এটা যাতে একসঙ্গে হয় সেজন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি তারা যেন সময়টা জানিয়ে দেয়।
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও বিভাগীয় কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। হাসান/সাম্প্রতিক