যে সাগর কিনারে হপ্তায় হপ্তায় ভিড় জমায় বঙ্গবাসীরা সেই দিঘার সাগরেরই কিনা চরিত্র বদলে গিয়েছে। তার এই চরিত্র বদল কারোর কাছে হাসির খোরাক, কারো কাছে বা ভয়ের বিষয়। ঘটনা ভাবাচ্ছে পরিবেশবিদের পাশাপাশি আবহাওয়াবিদ ও সমুদ্রবিজ্ঞানীদেরও।
কেউ মনে করছেন এই ঘটনা সামুদ্রিক ঘূর্ণীঝড় আছড়ে পড়ার আগের সতর্কবার্তা যা প্রকৃতি মানুষের কাছে পাঠিয়েছে, আবার কেউ মনে করছেন সাগরের তলদেশে বড়সড় কিছু পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। অনেকে এটাও মনে করছেন কোনও রাসায়নিক মিশেছে সাগরের জলে।
কারণ যাই হোক না কেন দিঘার সাগরে এখন রাশি রাশি পেঁজা তুলোর মত ফ্যানা, যা জমছে এসে সৈকত কিনারে। হাওয়ায় উড়ে সেই ফ্যানা ঢুকে যাচ্ছে শহরের অন্দরে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে দিঘার সাগরে যে জোয়ার এসেছিল তার সঙ্গে ভেসে আসে রাশি রাশি ফ্যানা যা আগে কখনই দেখা যায়নি বলে দাবি স্থানীয়দের।
সেই ফ্যানা কিন্তু মিলিয়ে যাচ্ছে না। জলের টানে পারের কাছে চলে এসে পারেই জমে থাকছে। তারপর হাওয়ায় ভেসে দিঘা শহরের ভেতরেও ছড়িয়ে পড়ছে।
কিছু কিছু জায়গায় সেই ফ্যানা জমতে জমতে কার্যত বেশ ছোটোখাটো পাহাড়ের চেহারা নিয়েছে।
সেই সঙ্গে বদলে গিয়েছে সমুদ্রের গর্জনের শব্দও। শনিবার সকালে দেখা গিয়েছে শুধু দিঘা নয়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমুদ্র তীরবর্তী অনেক গ্রামেই ভেসে এসেছে পেঁজা তুলোর মত এই ফ্যানা।
কিন্তু ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা এখনও সুদৃঢ় ভাবে কেউ বলতে পারছে না। তবে স্থানীয় প্রশাসন থেকে এদিন দিঘা সহ আশেপাশের সব এলাকা ও সাগর তীরবর্তী গ্রামগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ সমুদ্রে এখন না নামে।