নরসিংদী থেকে বোরহান মেহেদী : বছরের প্রথম ঝড়বৃষ্টির মাতাল জাগরণ হানা দিলো নরসিংদীতেও। থেমে থেকে পড়ছে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি। ঠান্ডা বাতাসের তোর বা ঝড়ের আশংকা এখন আর নেই। একটু আগে আকাশ ঘণ কালবৈশেখীর কালোমেঘে ঢেকে গিয়েছিলো উত্তর কোণ। জনমনে প্রথম কাল বৈশেখী হানা দেবার শংকা দেখা দিয়েছিলো।
নরসিংদী জেলার শিবপুর রায়পুরা মনোহরদী বেলাবো মাধবদী ও পলাশে হালকা ঝড় বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। পরে একটু বেড়ে কমে গেছে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি ও ধূলিঝড় হয়েছে বলে জানাগেছে। এখনো ফুটি ফুটি বৃষ্টি পড়ছে। তবে অনেক স্হানে বৃষ্টির পানিতে রাস্তা ঘাট কাদাযুক্ত হয়ে পড়েছে।
বৈশাখের আমেজ পাচ্ছে আজকে ছোট বড় সবে। সবাইকে মনে করে দিচ্ছে আম ঝরার দিন এসে গেছে। লক্ষ করা গেছে বৃষ্টি মাথায় ছোট শিশু কিশোররা ইতিমধ্যে পথে বেড়িয়ে পড়েছে। এখন আম কড়া না পেলেও আমলকি বা জামরুল পাবার আশায়।
এই প্রথম বৃষ্টিতে একবন্ধু তো কবিতা লিখতেই বসে গেছে। তারুণ্যের কাছে এই এক পশলা ছড়ো মাদল যেন জাগিয়ে গেছে মনের স্বপ্নিল আশা কুড়ির দু-পাতা। সত্যি নব বসন্তের কুকিল কুহুতান আর বাদলদিনের বাতাবী লেবুফুলের মৌগন্ধ কাব্য রসিকদের এক মহা লিখেয়ে প্রেরণা।
পুরাতন ছেড়ে নতুনের ডাক হচ্ছে এই বৈশেখী বসন্তের উল্লাস। ঝড়ের তোরে ডালপালা ভাঙ্গবে, ঘরদোর উপড়ে এ এক উতলা উন্মাদ খেলা। এতে বেদনা থাকে, থাকে নব জাগড়নের বিশ্বাস। আর এই দুঃখ কষ্টের ছাঁয়াতলেই আমাদের বাঙগালি বাস।
চোখের মাঝে দুলছে কলাপাতা বাঁশঝাড় আম লিচুর ডালা, দুলছে ফুসছে পুকুর জল। আর মিষ্টি শীতল আমেজ এই মুহুত্যে এক দারুন উপভোগ্য বিকেল। বাড়ির জানালা খুলে দেখছি আর মজা পাচ্ছি আজকের নতুন উদ্দিপনায় ঝরে পড়া ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির পরশ ছুঁয়ে।
না আজ কালবৈশাখীর প্রথম যাত্রায় জেলার কোথাও তেমন কোন ক্ষয় ক্ষতি সংবাদ পাওয়া যায়নি।