দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দেশের প্রত্নস্থল ও প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরগুলো খুলছে।
ফলে বুধবার থেকেই প্রত্নস্থল ও প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরগুলোতে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হান্নান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হান্নান মিয়া বলেন, প্রত্নস্থল ও প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরগুলো আগের সময়সূচি অনুযায়ীই খোলা থাকবে। দর্শনীর সময় পর্যটক ও দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং প্রবেশের সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রত্ন-জাদুঘরগুলোতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় থাকা কর্মীরা স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি তদারকি করবেন। এছাড়া টিকিট কাউন্টারেও তদারকি থাকবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব প্রত্নস্থল ও প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ঢাকার লালবাগ দুর্গ জাদুঘর, ময়মনসিংহ জাদুঘর, মানিকগঞ্জের বালিয়াটি প্রাসাদ ও জাদুঘর, বগুড়ার মহাস্থান জাদুঘর, নওগাঁর পাহাড়পুর জাদুঘর, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি, রংপুরের রংপুর জমিদারবাড়ি ও তাজহাট জমিদারবাড়ি, শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি, রাজশাহীর বাঘা জাদুঘর, নাটোরের চলনবিল জাদুঘর, খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর, খুলনার দক্ষিণ ডিহিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি, বাগেরহাটের জাদুঘর, ষাটগম্বুজ মসজিদ, কুষ্টিয়ার শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি, যশোরের সাগরদাঁড়িতে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি, বরিশালের চাখারে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের স্মৃতি জাদুঘর, বরিশালের বিভাগীয় জাদুঘর, ময়নামতি জাদুঘর, চট্টগ্রামের জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর, নারায়ণগঞ্জের পানাম সিটি প্রত্নস্থল, বগুড়ার গোবিন্দভিটা প্রত্নস্থল, বগুড়ার গোকুলমেধ মন্দির ও কুমিল্লার ময়নামতিতে শালবন বিহার।