সাম্প্রতিক শিরোনাম

হজরত উপাধি নি’কৃষ্টতম তেলবাজী

আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন ৯২ সালের ছাত্রলীগের মাইনুদ্দিন – ইকবাল কমিটির দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। কেরানীগিরি করা লাগে বলে মিছিল মিটিং এ তেমন দেখা যেত না তাকে। আমার চেয়ে দু বছরের ছোট।

সে কমিটিতে আমাকে জাতীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছিল। এ পদটি শুধু ছাত্রলীগেই আছে। কিছুটা দুধ ভাত খেলোয়াড়ের মত। প্রত্যেক জেলা থেকে নাকি একজন করে দেয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কতজনকে দেয়া হয়েছিল জানি না। বন্ধু বাহাদুর ব্যাপারী বললো তোর চিঠিটা নিয়ে আয়। গেলাম দুদিন দপ্তর সম্পাদক খুব ব্যাস্ত। পরে আর কোন দিন যাইনি। তখন প্রথম দেখি স্বপনকে।

আগে কোনদিন দেখি নাই শুনিও নাই। যেমন শুনি নাই আমাদের সভাপতি মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরীর নাম। একদিন ইডেন কলেজের এক অনুষ্ঠানে বন্ধু বাহাদুর বেপারী সভাপতি মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। কথা বলে তৃপ্ত হয়েছিলাম। তখন মনে হয়েছিল শেখ হাসিনার বাছাই কত নিখুত। কিন্তু পরে যখন হাবিব সভাপতি হল আমার সে ধারনা ভেঙ্গে যায়। তাকে দেখতে পুরা ট্রাক শ্রমিক নেতা লাগছিল। এ কিভাবে ছাত্রলীগের সভাপতি হয়। যা হোক স্বপনের সাথে আর ই’ন্টারেকশন হয়নি।

যখন সে ন’মিনেশন পেল তখন বুঝলাম তার মনে হয় দ্রুত প্রমোশন হয়ে গেছে। জয়পুরহাটে হয়ত আওয়ামী লীগের ভাল প্রার্থী নেই সে জন্য ন’মিনেশন। ইলেকশন গু’লি একত’রফা হওয়ায় স্বপন এখন এমপি। এখন আবার হুইপ মানে প্রতিমন্ত্রী। মনে হয় হুইপ টুইপ এগুলি তার ভাল লাগে না। পূর্ণ ক্ষমতার মন্ত্রিত্ব চায়। শীর্ষ নেতারা সবাই তেল চায়। তেলবাজদের শেখ মুজিবও পছন্দ করতেন কিনা জানিনা তবে তেলবাজদের দ্রুত পদোন্নতি আমরা দেখেছি। স্বপন সে রকম তেলবাজদের ঐতিহ্য অনুসরণ করছেন।

এক সময়ে তাহের ঠাকুরদের দেখেছি। কিভাবে তিনি একটি পত্রিকার ভ্রা’ম্যমাণ রি’পোর্টার থেকে মন্ত্রী পদে আসীন হলেন। খাজা আহমেদ, সিরাজুল হকরা তেলবাজ ছিলেন না ফলে গোড়াতেই তাদের ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছিলেন। সিরাজুল হককে শেখ হাসিনা যখন প্রেসিডিয়াম সদস্য করেন তখন তিনি কবরে যাওয়ার ক্ষন গননায় ব্যাস্ত। পিতার পাওনা ছেলেকে দিয়েতো আর লাভ নেই। খাজা আহমেদ কে ছিলেন? সে ছিল নেহেরু, সুভাস বসুর দলের রাজনীতি করা (১৯৩০-১৯৪১) রাজনৈতিক।

মতামতঃ দুলক আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রিসার্চার।

সর্বশেষ

রাওয়ালপিন্ডিতে বৈঠক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা

ঢাকা, ২৪ আগস্ট ২০২৫: পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফাইজুর রহমান এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ...

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...