আজ ৮ ফাগুন- সর্ববঙ্গে দ্রোহের আগুন। আমি মহান ৮ই ফালগুন মোতাবেক ইংরেজি ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সনের কথা বলছি। বর্ণালী বসন্তের হিল্লোলে সেদিন কুয়াশায় ঢাকা ভোরেও কোকিল গান গেয়েছিল ।নব বসন্তে উদ্গত কচি সবুজ পাতায় উচ্ছল বৃক্ষের ডালে ডালে মাতাল হয়ে নেচেছিল দোয়েল ফিঙ্গে আর বৌ কথা কও পক্ষী সকল।কাঠালিচাপার মন মাতানো গন্ধে মৌ মৌ সেই সকালে গন্ধরাজ বেলি ,যুঁই চামেলি কামিনী ফুটেছিল কুসুম কাননে। রাধা চূড়া, কৃষ্ণচূড়া ও পলাশের পাতায় পাতায় লাল রক্তের বান ডেকেছিল।বাঙালির বুকে জেগে উঠেছিল উত্যুঙ্গ সাহস। জ্বলে উঠেছিল এখতিয়ারউদ্দীন মোহাম্দ বখতিয়ার খিলজির সেই সাদা ঘোড়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দাবানল।জ্বলেছিল কত অগনন শুকনোপাতা।
বাঙালি চেতনার অগ্নিমশাল বাঙালির মনে জাগিয়ে দিয়েছিল দূর্ণিবার সাহস । অমিত তেজ । হিমালয়ের মত মনোবল। কিন্তু কোথা থেকে আসলো এই মনোবল? কে যোগালো সেই প্রত্যয়?প্রজন্মকে জানাতে হবে সত্য কী?
১৯৪৮সালে ভাষা আন্দোলনের উন্মাতাল ঢেউ জেগেছিল যার সেনপত্যে তিনি গোপালগঞ্জের টঙ্গীপাড়ার সেই খোকা। বড় হয়ে শেখ মুজিবর হলেন। বঙ্গবন্ধু হলেন। জাতির জনক হলেন। তিনি তখন জেলে। ১১ মার্চ , ১৯৪৮ যারা গ্রেফতার হয়েছিলেন তাদের অনেকেই তখনও কারারুদ্ধ”।
লেখকঃ শমিত জামান, সাংবাদিক কলামিস্ট।