আমেরিকায় এই মুহূর্তে দোকানে দোকানে লুটপাট চলছে। এই দেখে বঙ্গোপসাগরের পাশে বসে কতিপয় বাঙালি ঈদ আনন্দ করতেছে! এরা কোনটা নিয়ে আনন্দ করতে হয় আর কোনটা নিয়ে দুঃখ পেতে হয় তাও ক্ষেত্র বিশেষ বুঝেনা। এইটা যে আমেরিকানরা হুজুগে করতেছেনা। পেটের দায়ে করতেছেনা। স্রেফ প্রতিবাদ হিসাবে করতেছে। সে খবর এই বাঙালির কাছে নাই। ঘটনা হল মিনিসোটাতে জর্জ ফ্লোয়েডকে নির্মম ভাবে হত্যা করে পুলিশ। এক কথায় হোয়াইট পুলিশ প্রকাশ্যে দিবালোকে পাড়িয়ে ধরে ব্লাক এই মানুষটাকে মেরে ফেলে।
দুনিয়াব্যাপী লকডাউনের ফলে লাখ লাখ আমেরিকানদের মত সদ্য চাকুরি হারানো মৃত ফ্লয়েড পেশায় ছিলেন একজন বুচার বা কসাই। ফ্লোয়েড নিয়মিত ফুড বা গ্রোসারি শপের কাস্টমার ছিলেন। শপের মালিকও তার দীর্ঘদিনের পরিচিত। ওই শপের মালিক মাইক আবু মাহালে এনবিসি এবং বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ফ্লয়েড ছিলেন খুবই ফ্রেন্ডলি এবং সহাস্য। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুঃখজনক হল ঘটনার দিন শপের মালিক মাইক আবু মাহালে শপে ছিলেন না। তার দুজন টিনেজ হোয়াইট কর্মচারী কাজ করছিল। মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে ফ্লয়েড ওই শপ থেকে এক প্যাকেট সিগারেট কিনে ১৬.২০ ডলার দাম দেয়ার জন্য ২০ ডলারের একটা নোট দেন। কিন্তু দোকানে থাকা দুই হোয়াইট টিনেজ ২০ ডলারের ওই নোটটিকে ফেক বা জাল মনে করে নোটটি ফেরত দেয়। এবং ফ্লয়েডের কাছে সিগারেট প্যাকেট ফেরত চায়।https://googleads.g.doubleclick.net/pagead/ads?client=ca-pub-2686196459804731&output=html&h=353&adk=3398473522&adf=678794279&w=424&lmt=1591223586&num_ads=1&rafmt=1&armr=3&sem=mc&pwprc=8252284113&psa=1&guci=2.2.0.0.2.2.0.0&ad_type=text_image&format=424×353&url=http%3A%2F%2Fwww.natunbarta.com%2Finternational-analysis%2F2020%2F06%2F02%2F210876%2F%25e0%25a6%25af%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25a3%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%25ae%25e0%25a7%2587%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25be-%25e0%25a6%258f%25e0%25a6%2596%25e0%25a6%25a8-%25e0%25a6%2589%25e0%25a6%25a4%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25a4%2F&flash=0&fwr=1&pra=3&rh=294&rw=352&rpe=1&resp_fmts=3&sfro=1&wgl=1&fa=27&adsid=NT&dt=1591223586316&bpp=15&bdt=1771&idt=-M&shv=r20200601&cbv=r20190131&ptt=9&saldr=aa&abxe=1&cookie=ID%3D74fa271d71b7d22e%3AT%3D1591223393%3AS%3DALNI_MZ9JIKRqRXMWwCpXc9dIzbe7JRnkA&crv=1&prev_fmts=0x0&nras=2&correlator=5943813005317&frm=20&pv=1&ga_vid=1649439450.1591223393&ga_sid=1591223586&ga_hid=1048156729&ga_fc=0&iag=0&icsg=35324512153599&dssz=35&mdo=0&mso=0&u_tz=180&u_his=2&u_java=0&u_h=918&u_w=424&u_ah=918&u_aw=424&u_cd=24&u_nplug=0&u_nmime=0&adx=0&ady=1569&biw=424&bih=829&scr_x=0&scr_y=0&eid=21066142%2C42530452%2C42530454%2C368226470%2C368226480&oid=3&pvsid=2802371632781450&pem=526&ref=http%3A%2F%2Fwww.natunbarta.com%2F&rx=0&eae=0&fc=1408&brdim=0%2C0%2C0%2C0%2C424%2C0%2C424%2C829%2C424%2C829&vis=1&rsz=%7C%7Cs%7C&abl=NS&fu=8336&bc=23&ifi=1&uci=a!1&btvi=1&fsb=1&xpc=yDTRmpTipC&p=http%3A//www.natunbarta.com&dtd=66
ফ্লয়েড তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এক পর্যায়ে এক টিনেজ নাইন ইলেভেনে কল করে পুলিশকে ডাকে। এরপরের ঘটনা ইতিমধ্যে সবাই দেখেছেন। ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের যে ভিডিওটি পত্র-পত্রিকায় এসেছে। তা আসলে শেষ পর্যন্ত দেখা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। স্পষ্টতই বোঝা যায় কোন কারণ ছাড়া পুলিশ নির্মম ভাবে খুন করে ফ্লয়েডকে। আজকে দেখলাম সিবিএস নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আমেরিকান ল’ইয়াররা এটাকে প্রিমেডিকেটেড মার্ডার বলছেন। এ ইস্যু নিয়ে পুরো আমেরিকা এখন উত্তাল। পুরো দেশ ওলট পালট হবার পথে।
পুলিশ হাঁটু গেড়ে বসে ক্ষমা চাইলেও কোন লাভ হয়নি। হত্যার মূল আসামি পুলিশ অফিসার দৃক চাওভিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ আদালতেও তোলা হয়েছে। তবু আন্দোলন থামেনি। শুধু তাই নয়। গ্রোসারি শপকে কেন্দ্র করে ফ্লয়েডের এই নির্মম হত্যাকান্ড হয় বলেই প্রতিবাদকারীরা গ্রোসারি শপগুলোতে ঢুকে লুটপাট করে প্রতিবাদ করছে। হতে পারে প্রতিবাদের এটা একটা বিশ্রী ভাষা। তবু পরিস্থিতি বিবেচনায় এটাও একটা প্রতিবাদ। লোকটা মরার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বলতেছিল, আই কান্ট ব্রেথ। আজ আমেরিকানরা হাতে যে প্লাকার্ডটি নিয়ে এ আন্দোলন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিল সেই প্লাকার্ডে লেখা ছিল, উই কান্ট ব্রেথ। এর থেকে প্রতিবাদের ভাষা আর কি হতে পারে? প্রতিবাদের সৌন্দর্য আর কি হতে পারে?
লেখকঃ ফজলুল হালিম রানা, সহযোগী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।