ম্যাজিস্ট্রেট ছেলের বাবার অমানবিক জীবন যাপন। যে বাবার আদরে ছেলে আজ ম্যাজিস্টেট, সেই বাবা আজ ভিক্ষা করে। বৃদ্ধ এই লোকটির নাম মফিজ উদ্দীন পাঠান। ময়মনসিংহ জেলার, গফরগাঁও পাগলা থানাধীন মুখি গ্রামে বাড়ি। বাসের ড্রাইভারি করে সন্তানদের লেখা পড়া করিয়েছেন।
এক ছেলে জজ কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট আর এক ছেলে কোম্পানীতে চাকুরী করেন। মফিজ উদ্দিন বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রীকে নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলাধীন খারুয়ালী গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। ম্যাজিস্ট্রেট পুত্রধন কোথায় থাকেন তাও তিনি জানেন না তবে যত দুর জানেন ছেলে একাই খুলনায় বিয়ে করেছেন, শ্বশুর আব্বা নাকি সচিব। কতটুকু শিক্ষিত হলে মানুষ হওয়া যায়?
কোন সন্তানই উনার খোঁজ রাখেন না। বর্তমানে উনি খুবই মানবতার জীবন কাটাচ্ছেন। ম্যাজিস্ট্রেট ছেলে যতই আইনের উর্দ্ধে আর মানবতা নিন্মে থাক জাতী হিসেবে আমরা আজ কোথায়? জীবন কেন অসভ্যতার হিংস্র আঁচরে ক্ষত বিক্ষত হবে? সচিব শ্বশুর ম্যাজিস্টেট জামাইকে চিনেন অথচ ম্যাজিস্ট্রেট জামাইয়ের বাবাকে চিনেন না। উচ্চ শিক্ষিত হলেই মানুষ অসভ্য হয়ে যায়? সন্তানদের পড়াতে প্রান কিভাবে পাবে গরিব বাবারা?