পত্রিকায় প্রায়ই দেখা যায়, ছাত্রলীগের কর্মীরা কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছে। অাবার ইদানিং অাওয়ামীলীগের বাঘা বাঘা নেতাদেরও মাঠে নেমে ধান কাটতে দেখা যাচ্ছে।
অামরা জানি, জনগণের কল্যাণের স্বার্থে একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়। দলের কাজকে এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে বিভিন্ন শাখা সংগঠন থাকে।
গঠনতন্ত্রে উল্লেখ থাকে, তারা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে। যেমন- কৃষক সংগঠন কৃষকদের জন্য, ছাত্র সংগঠন ছাত্রদের জন্য, শ্রমিক সংগঠন শ্রমিকদের জন্য কাজ করবে।
একই উদ্দেশ্যে বড় বড় দলগুলোর কৃষক লীগ, কৃষক দল, কৃষক পার্টি, শ্রমিক লীগ, শ্রমিক দল, শ্রমিক পার্টি, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র সমাজ ইত্যাদি নামে বিভিন্ন শাখা সংগঠন রয়েছে।
কিন্তু বাস্তবে উল্টো চিত্র দেখা যায়। তারা কাজের জন্য নয়, সমাজে প্রভাব- প্রতিপত্তি বজায় রাখার জন্য পদগুলো দখলে রাখে। যেমন- রাজধানীতে কৃষক নেই, কিন্তু কৃষক সংগঠন রয়েছে( তবে তারা যদি নগরীয় কৃষির কথা বলতো তাহলে অাপত্তি থাকতো না)। ফলে দল যেমন সরকার তেমন।
সেখানে দক্ষতা ও সততা দেখে মনোনয়ন দেয়া হয় না, মন্ত্রীর পদও দেয়া হয় না।
লেখকঃ সমিত জামান, কলামিস্ট।