বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই সংগঠনটির রয়েছে সংগ্রামের ইতিহাস। সংগ্রামের এই পথ চলতে গিয়ে এই সংগঠনটি হারিয়েছে তাদের অনেক কর্মীকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, ‘৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এই সংগঠনটির রয়েছে ত্যাগের ইতিহাস৷ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এই সংগঠনটি তার দল ক্ষমতার বাইরে থাকলে হয়েছে নির্যাতনের স্বীকার, হামলা-মামলার স্বীকার। আর ক্ষমতার ভিতরে থাকলে হয়েছে মিডিয়া ট্রায়ালের স্বীকার, নেতাদের বঞ্চনার স্বীকার।
বেশি দিন না, এই ২০০১-০৬ সালে যখন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় ছিলো তখন ছাত্রলীগ দলের জন্য মার খেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে তাদের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতনের স্বীকার হয়ে ছাত্র জীবনের সোনালী সময় গুলো কাটিয়েছে যন্ত্রণায়। কারন, দলের প্রতি ভালবাসা ও আদর্শের প্রতি অবিচলতা। আজ ছাত্রলীগের যে কর্মীদের ত্যাগের উপর দাঁড়িয়ে যে দল ক্ষমতায় সেই নেতারা কি তাদের খোঁজ খবর রাখছেন?
রাজনৈতিক শিষ্টাচার দেখাতে গিয়ে নুরুকে দেখতে গেলেন দলের শীর্ষ দুই নেতা৷ নুরু তার নাটকের পর্ব শেষ করে প্রথমেই সঞ্জিত-সাদ্দাম সহ ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিলো, আমাদের এক মন্ত্রীকে বাচাল বলল। সঞ্জিত কে বলল “র” এজেন্ট। হিন্দু হলেই তাকে “র” এজেন্ট বলাটা কি কিছুটা সাম্প্রদায়িক আচরণ নয়? তা এখন কি নুরুকে মিষ্টি মুখ করাতে যাবেনা শীর্ষ নেতারা? কতজন ছাত্রলীগ নেতা হামলার স্বীকার হলে দেখতে যাওয়া হয়? ছাত্রলীগের কতজন কর্মীর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সাহায্য করছেন নেতারা? এই দায়িত্ব টা তো দলকেই নিতে হবে!
সকল মিডিয়া ছাত্রলীগকে যেন ফুটবল পেয়েছে।গতকাল প্রথম আলো নিউজ করলো- “সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিয়ে করতে গেলেন হেলিকপ্টারে৷” ছাত্রলীগ নেতার পরিবারের কি টাকা থাকতে পারবেনা? তার কি হেলিকপ্টারে চড়া নিষেধ? আরেকটি অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজ। তারা দুইদিন আগে নিউজে উল্লেখ করলো- ছাত্রলীগ নেত্রীর গোপন ভিডিও ভাইরালের কথা। মূল নিউজে দেখা গেলো নেত্রীর একটি কান্নার ভিডিও ভাইরালের কথা। এসবের পরেও আনিসুল হকেরা গিয়ে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পায় যেখানে আমাদের নেতারা উপস্থিত থাকেন। এটা কি ছাত্রলীগের সাথে বে-ইনসাফী নয়?
আওয়ামী লীগ যদি শরীর হয় ছাত্রলীগ তার ব্যাকবোন। এটা দুর্বল হলে আওয়ামী লীগ দুর্বল হবে। এই সংগঠনের কর্মীদের সাথে এতিমের মতো আচরণ করবেন না। এরা এখন নিজেদের এতিম ভাবে। দলের নেতাদের কাছে ছাত্রলীগের একজন নেতা কিংবা কর্মীর এক্সেস প্রায়োরিটি থাকা উচিত সবার আগে। এরাই আগামীতে দলের হাল ধরবে। ছাত্রলীগকে পরিচর্যা করুন।
ক্ষমতার বাইরে গেলে এই দলকে বাঁচিয়ে রাখবে এই দলের কর্মীরাই। ছাত্রলীগের কর্মীরাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেছিলো- “নেতারা ভুল করলেও, কর্মীরা কখনো ভুল করেনা।” সেই কর্মীদের মূল্যায়ন করুন। দয়া করে করুন। নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আওয়ামী লীগের একজন ভোটারের এই চাওয়া….
নাহলে হয়তো কখনো পস্তাতে হবে। টানা ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে কর্মীদের ভুলে গেলে চলবে না। চলবে কি?
পৃথিবী আলম রাজ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment