বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্ত হবার (৮/৩/২০) প্রায় দেড় মাসের অধিক সময় পার হয়ে গেল।বর্তমান অবস্থাকে বেশ ভয়াবহ বলা যেতে পারে। এই সময়ে পুলিশ, মিলিটারী সহ অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারী ছাড়া অধিকাংশ এমপি, মন্ত্রী, রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীবৃন্দকে “সঙ্গ নিরোধ” অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে কাউকে কাউকে ফেসবুকে দুঃস্থদের খাদ্য বিতরনের ছবিতে দেখা যায়। কিন্তু করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সরকার কর্তৃক নির্দেশিত ” সামাজিক দুরত্ব ” নিশ্চিত করা, “খুব বেশী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার” বিষয়ে গনসচেনতা সৃষ্টির নিমিত্তে গন উদ্বুদ্ধকরনের কোন কৌশলী কর্মকান্ডেও তাঁরা দৃশ্যমান নন।
অবশ্য টিভিতে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে দেখেছি মাস্ক পড়ে নিজেই বাজারে যেয়ে জনগনকে বোঝাচ্ছেন, কোন সময় থমক দিচ্ছেন আবার কোন সময় ইটের টুকরা হাতে নিয়ে মানুষকে সামাজিক দুরত্বে দাঁড়ানোর জন্য গোল চিহ্ন এঁকে দিচ্ছেন। হয়ত এদেশের নেতরা মনে করেন করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির প্রচেষ্টার চেয়ে মাঝে মধ্যে দুঃস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরন করে পত্রিকা অথবা ফেসবুকে প্রচার করলেই রাজনীতির জন্য উত্তম হবে।
বাংলাদেশের এমপিগন উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসাবে পরিষদের নামে বরাদ্ধকৃত ত্রান বা কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসুচীর খাদ্যশষ্য, এডিপি ও অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকান্ডের অর্থ বিলি বন্টন অর্থ্যাৎ বিভাজন দিয়ে থাকেন। অনেকেই মনে করেন, বর্তমান দুর্যোগকালে সরকার কর্তৃক বরাদ্ধকৃত ত্রান বিতরনে পদাধিকার বলে যদি কিছুটা দেখভাল করতেন তাহলে ত্রান আত্মসাৎ এবং প্রকৃত সুবিধাভোগীদের ত্রান না পাওয়ার অভিযোগ কিছুটা হলেও কম হত।
অবশ্য কারও কারও অভিমত, বড় বড় নেতাদের সম্পৃক্ততা থাকলে এ সব অনিয়মের মাত্রা বেড়ে যেতেও পারত। আবার কেউ বা বলেন, সদিচ্ছা থাকলে তাঁদের অর্জিত সম্পদের কিয়দংশ দিয়ে নিজ নির্বাচনি এলাকার দুঃস্থ মানুষদের দেড় দুই মাস খাদ্য সরবরাহ করা কোন ব্যাপারই ছিল না। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে সে প্রসঙ্গ আনতে চাচ্ছি না। আমার জিজ্ঞাসা নেতাদের জনগনকে সচেতন করার কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত না হবার কারন কোনটি হতে পারে বলে মনে করেন:
১) তাঁরা ” সমাজের মুল্যবান পন্য” বিধায় তাঁদের জীবনও অনেক মুল্যবান তাই তাঁদের জীবন হানির কোন ঝুঁকি নেওয়াই ঠিক হবে না।
২) বৈধ, অবৈধ ভাবে অর্জিত বিশাল সম্পদ ভোগ করা তাঁদের অধিকার বিধায় যে কোন মুল্যে বেঁচে থাকতে হবে।
৩) হঠাৎ করে এবং অচিন্তনীয় ভাবে এই মহাদুর্যোগ সৃষ্টি হওয়ার কারনে তাঁদের বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও সম্পদ উত্তারাধিকারদের ঠিকমত বুঝিয়ে দিতে পারেন নাই বিধায় সেই কাজটি করার জন্য আরও কিছু দিন বেঁচে থাকা দরকার।
৪) এই মহাদুর্যোগেও দৈবক্রমে বেঁচে যাওয়া জনগোষ্টিকে শাসন, শোষন, নির্যাতন এবং সম্পদ লুন্ঠনের জন্যেও বেঁচে থাকা দরকার।
৫) দুর্যোগকালে জনগনকে সচেতন করা বা সেবা দেওয়ার কাজ নেতার নয়, নেতার কাজ শুধুমাত্র দেশ ও জনগনকে শাসন করা।
লেখকঃ- শমিত জামান, কলামিস্ট।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment