মানুষকে এ ধরনের মনস্তাত্বিক প্রস্তুতি এবং ইচ্ছা শক্তি সৃষ্টি করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সহ অন্যান্য রাজনীতিকগনের বহু ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষনে সে প্রস্তুতির পরিপুর্নতা পেয়েছিল।
বর্তমানের করোনা যুদ্ধে জয়লাভ করতেও প্রয়োজন ছিল বাস্তবতার নিরিখে একটি সুষ্ঠ পরিকল্পনা এবং একদল প্রতিশ্রুতিশীল বলিষ্ট নেতৃত্ব।
বিশ্বব্যাপি দুর্যোগ আর দেশে দেশে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষনার পরেও আমাদের দেশে অনেক প্রস্তুতির কথা শুনেছি।
আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এবং সেতু মন্ত্রীর বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে, কাদের বাহিনী প্রস্তুত, করোনা ভাইরাস আসার সংগে সংগে কামানের গোলায় উড়িয়ে দিবেন।
কিন্তু বাস্তবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ডাক্তারদের মাস্ক, পিপিই তো নয়ই সাধারনের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারও বাজারে নাই।
কিন্তু প্রথম থেকেই যদি বলা হত, আমাদের সামর্থ, সম্পদ, অবকাঠামো এবং যোগ্য লোকবল সবই সীমিত তা দিয়ে করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ কিংবা রোগ নিয়ন্ত্রন সম্ভব নয়। এই বিপর্যয় রোধে একমাত্র জনগনকেই নিজ দায়িত্বে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
যে দেশে শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ দ্রারিদ্র সীমার নীচে সে দেশে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সমস্যা এবং সমাধানের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ভাষন এবং তখনকার বাস্তব চিত্র আমলে নিয়ে ত্রান ব্যাবস্থাপনা পুনর্বিন্যাস করলে এই বিপর্যয় নাও হতে পারত। আসলে সত্য বলে জনগনকে যত সহজে সচেতন করা যায়, সত্য গোপন করে তা করা যায় না। স্বাধীনতা উত্তর বঙ্গবন্ধু যেমন বলেছিলেন, ” আগামী তিন বছর আমি আপনাদের কিছুই দিতে পারব না”।
দেশের জনগন বঙ্গবন্ধুর সে আহবান অবশ্যই মেনে নিয়েছিলেন হয়ত বা মানে নাই তাঁর দলের কিছু নেতাকর্মি একটি কুচক্রী মহল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একাগ্রতা, কর্ম তৎপরতা এবং নিরলস প্রচেষ্টাকে আমি খাঠো করে দেখছি না তবে তাঁর সকল প্রচেষ্টা সফল করতে যোগ্য সহযোগী কোথায়? জোবায়ের আনসারীর জানাযা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলা যেতে পারে কিন্তু দুই একজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং বিজেএম ই নেতাদের কর্মকান্ড কি ভাবে মুল্যায়ন করা যাবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ত্রান তৎপরতা সমন্বয়ের জন্য প্রতি জেলায় একজন করে সিনিয়র সচিবকে দায়িত্ব দিয়েছেন। বিলম্বে হলেও ভাল উদ্যোগ কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হবে বলে হয় না। এই সময় সবচেয়ে জরুরী ছিল দেশে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষনা করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ত্রান ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভা আহবান করে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা, সেই সংগে ত্রান ব্যাবস্থাপনা উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্বিন্যাস করে সর্বদলীয় নামকরন করে কার্যক্রম শুরু করা।
তাতে সমন্বিত কার্যক্রম বেগবান হত। মনে রাখতে হবে করোনা সংকট দেশকে এবং বিশ্বকে কোথায় নিয়ে যাবে তা বলা কঠিন। তার উপরে এ সংকট চলাকালিন অথবা তৎপরেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করতে
জরুরীভাবে প্রয়োজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।
লেখক: সমিত জামান, কলামিস্ট.
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment