ফজলুল হক মন্টু, সভাপতি ও এ কে আজম খশরুকে জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক এবং মালেইশিয়া শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে ক্রাক প্লাটুন আওয়ামী এক্টিভিস্ট ফোরামের সদস্য সচিব, জনাব এস এম আবুল হোসেন।
শনিবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের মিলনায়তনে জাতীয় শ্রমিক লীগের ১৩তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। সভাপতি পদে সাতজন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে ১২ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন ফজলুল হক মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন কে এম আজম খশরু। এছাড়া কার্যকরী সভাপতি হিসেবে মোল্লা আবুল কালাম আজাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে সকাল ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথম অধিবেশনের পর বিকেল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সদ্য বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি ছিলেন শুক্কুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সিরাজুল ইসলাম।
অধিবেশনে প্রার্থীর নাম চাওয়া হলে সাতজন সভাপতি ও ১৩ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করা হয়। এর পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ নেতারা প্রার্থীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক কে এম আজম খশরু ও মোল্লা আবুল কালাম আজাদকে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।
এসময় আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে আরও ছিলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
পরে কমিটির নাম ঘোষণা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম এসেছে তাদের নিয়ে আমরা সমঝোতায় বসেছিলাম। সমঝোতায় কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত না আসায় সবাই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন। শেখ হাসিনা শ্রমিকলীগের এ তিনজনের নাম বলেছেন। আশা করি, আপনারা এ কমিটি নিয়ে শ্রমিক লীগ সুসংগঠিত করে রাখবেন।
নব-নির্বাচিত সভাপতি ফজলুল হক মন্টু একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং বিদায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির কা
র্যকরী সভাপতি ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক কে এম আজম খশরু সদ্য বিদায়ী কমিটির প্রচার সম্পাদক ছিলেন। কার্যকরী সভাপতি মোল্লা আবুল কালাম আজাদ ছিলেন বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি।
জাতীয় শ্রমিক লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দুই বছর পর পর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও বিদায়ী কমিটির মেয়াদ সাত বছরের বেশি সময় পার হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্রমিক লীগের ৩৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির বাকি সদস্যদের নাম কয়েকদিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।
কমিটি ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফজলুল হক মন্টু সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে শ্রমিকলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবো।
সাধারণ সম্পাদক আজম খশরু বলেন, সারাদেশে শ্রমিক লীগকে সুসংগঠিত করতে আমরা কাজ করে যাবো। প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস অক্ষুণ্ন রাখবো।
এর আগে সকালে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জনাব এস এম আবুল হোসেন বলেন, রাজনীতি যখন সত মানুষদের উপর ন্যাস্ত হয় তখন সাধারন জনগন এর সুফল ভোগ করতে পারে। বঙ্গকন্যা ওনার নিপুণ হাতে যোগ্য ব্যক্তিদের উপর ন্যস্ত করেছেন দায়িত্ব। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও আশা করছি পূর্বের ভুল ত্রুটি সংযোজন বিযোজন এর মাধ্যমে যে আত্মশুদ্ধি আসবে তা আমাদের জন্য কল্যানকর হবে। শ্রমিকদের কথা বলার জন্য যোগ্য নেতৃত্ব বাচাই করার জন্য দেশরত্নকে ধন্যবাদ জানাই।
Leave a Comment