সাম্প্রতিক শিরোনাম

চামড়া শিল্প রক্ষায় আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিল সরকার : মান্না

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, চামড়া শিল্প রক্ষায় আবারও ব্যর্থতার পরিচয় দিল সরকার। গত কয়েক বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে সরকারের যোগসাজশে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে দাঁড় করানো হয়েছে।

সোমবার (৩ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মান্না বলেন, গত বছর কোরবানির পশুর চামড়ার দামের যে বিপর্যয় আমরা দেখেছি তার পরও সরকার এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কোনো ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। গত বছর চামড়ার দাম না পেয়ে অনেককে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলতে দেখা গেছে। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া কিনে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে না পারায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এর পেছনে কাজ করেছে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। অথচ সরকার সেদিকে কোনো নজর দেয়নি।

তিনি বলেন, উপরন্তু এ বছর ঈদের কয়েকদিন আগে সরকারের পক্ষ থেকে চামড়ার কম মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্ধারিত মূল্যেও চামড়া বিক্রি করতে পারেনি মানুষ। গেল বছরের অভিজ্ঞতা থেকে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা এ বছর চামড়া কিনতে আগ্রহী ছিল না।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ফলশ্রুতিতে এ বছরও চামড়া নির্ধারিত মূল্যের অর্ধেকেরও কম দামে, কোথাও কোথাও নামমাত্র মূল্যে বিক্রি হয়েছে। এমনকি এবারও অনেকে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন। এই চামড়ার টাকার সম্পূর্ণ হক দেশের গরিব মানুষের। করোনা এবং বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের নিম্নবিত্ত মানুষের কোনো দায়িত্ব নিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তারওপর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোরবানির পশুর চামড়া থেকেও গরিব মানুষের হক নষ্ট করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

মান্না বলেন, আমি আগেও অনেকবার বলেছি এই সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ নয়, দেশের মানুষ নিরাপদ নয়, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিরাপদ নয়, দেশের অর্থনীতি নিরাপদ নয়। সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এই সরকার যতদিন থাকবে ততদিন দেশের মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়। তাই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এখনই দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...