বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) বিকেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুওদুদ আহমদকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়ার পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মওদুদ আহমদকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা কিছুটা ভালো। শায়রুল কবির মওদুদ আহমদের সঙ্গেই আছেন।
শায়রুল কবির খান জানান, এখন তিনি (মওদুদ) নড়াচড়া করতে পারছেন। কিন্তু আগের দিন মঙ্গলবার তার অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি মওদুদ আহমদকে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মওদুদের একান্ত সহকারী মমিনুর রহমান সুজন মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) গণমাধ্যমকে বলেন, স্যারের ফুসফুসে গত ১২ দিন ধরে পানি জমা হচ্ছে।
যার কারণে ফুসফুসে অক্সিজেন গ্রহণক্ষমতা একেবারেই কমে গেছে। পাশাপাশি উনার কিডনির জটিলতাও দেখা দিয়েছে।
অবস্থার অবনিত ঘটার কারণে চিকিৎসকরা তাঁকে দ্রুত আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। সেখানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চার্লস থোর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন মওদুদ। তার স্ত্রী হাসনা মওদুদও সিঙ্গাপুর রয়েছেন।
গত ২৯ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে সিসিইউ-তে ভর্তি হন মওদুদ আহমদ। তাঁর রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছিল।
পরে কিছুটা সুস্থ হন তিনি। সেখানে দুবার কভিড-১৯ পরিক্ষা করা হয়েছিল এবং প্রতিবারই করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। সেখানে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় তার হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়।
১৩ জানুয়ারি সিসিইউ থেকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। কিছুটা সুস্থ হলে ২০ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়।
এরপর আবার ২১ জানুয়ারি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন।
মওদুদের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন তার সহধর্মিনী হাসনা জসিমউদদীন মওদুদ আহমদ। দেশবাসীর মাধ্যমে মহান আল্লাহর দরবারে পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে দোয়া চেয়েছেন তিনি।