সম্পাদকীয় প্রতিবেদকঃ সম্প্রতি গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ কৃষকলীগের অনুমোদনে প্রান ফিরে পেয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলা কৃষকলীগ। সীতাকুন্ড উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ২৪ বছরের সাবেক সফল সভাপতি ও একই ইউনিয়নের দু’বারে নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান-ক্লিন ইমেজের নেতা ইন্জিনিয়ার আজিজুল হককে আহ্বায়ক ও সীতাকুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি, রিয়াদ আওয়ামী যুবলীগের প্রাক্তন সভাপতি ও রিয়াদ মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁনকে সদস্য সচিব করে বীরমুক্তিযোদ্ধা জননেতা আবুল কাশেম মোঃ ওয়াহিদী, বীরমুক্তিযোদ্ধা ডাঃ রফিকুল ইসলাম ও সাবেক ভাটিয়ারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি শামছুল আলমকে যুগ্ন আহ্বায়ক করে সাবেক ত্যাগী উজ্জীবিত নেতাদের সম্পৃক্ত করে ৫৬ সদস্য সীতাকুন্ড উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। আহ্বায়ক কমিটি এমন নেতাদের সমন্বিত করা হ’ল যারা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন এবং অতুলনীয় জনপ্রিয়। হঠাৎ কৃষকলীগে দায়িত্ব নিলেন কেন এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল কৃষকলীগের সীতাকুন্ড উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁনকে। মুঠোফোনে আমাদের প্রতিবেদককে তিনি বললেন, চট্টগ্রাম তথা সীতাকুন্ডের রাজনীতিতে আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন অনেকটা অস্তিত্বহীন। ২০০৩ সনে সর্বশেষ সম্মেলনের পর আর কাউন্সিল হয়নি। খুঁড়ে খুঁড়ে আহ্বায়ক কমিটির নামে বছরের পর বছর মর্যাদাহীন কৃষকলীগ যেন কোমায় কোনরকমে বেঁচে আছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গঠিত এ সংগঠনটির বেহাল দশা থেকে পরিত্রান করবার লক্ষ্যে অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমি এবং আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। সংগঠনকে শক্তিশালী করাই লক্ষ্য।
কি সংগঠন এর গুরুত্ব বা কতক্ষানী তা ভাবিনি। ভাবনা একটায় সংগঠনটিকে সম্মান ও মর্যাদার জায়গায় পৌঁছাতে হবে এবং কৃষকের ন্যায্য দাবীসমুহ সরকার প্রধানকে অবহিত করে ব্যবস্হা গ্রহন করনীয়। এছাড়া আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে কৃষকলীগ তার সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করবে এবং সাংগঠনিক গঠনমুলক পদক্ষেপসহ সংগঠনটিকে মর্যাদার আসনে নিয়ে যাবে। এ লক্ষ্যে কাজ করবে কৃষকলীগ। সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব নিবেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি দায়িত্ব নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। বললেন, তিনমাসের মধ্যে সংগঠনটিকে সুসংগঠিত করে যোগ্য নেতৃত্ব সৃস্টি করবার অভিপ্রায়ে কাজ করছি। যোগ্য নেতাদের হাতে সংগঠনকে তুলে দিতে চাই। উল্লোখ্য যে, মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁনের সাংগঠনিক দায়িত্বশীলতা আজ পর্যন্ত ব্যর্থতার কোন নজির নেই। তিনি সেরা একজন দক্ষ সংগঠক বলে মনে করেন সীতাকুন্ডের সচেতন রাজনৈতিকমহলসহ মধ্যপ্রাচ্যের সকল মুজিবপ্রেমী নেতৃবৃন্দগণ।।
Leave a Comment