বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টানা নবমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের৷
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সারা দেশ থেকে আসা ৭ হাজার ৩৩৭ কাউন্সিলরের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়। এর আগে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে তারা কাউন্সিলরদের জন্য নির্ধারিত আসনে গিয়ে বসে।
এবার কাউন্সিলে ৩ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাজ করেছে। নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমাহুন, সদস্য ছিলেন ড. মসিউর রহমান এবং প্রফেসর সাঈদুর রহমান৷
সভাপতি পদে মনোনয়ন আহ্বান করা হলে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় শেখ হাসিনা টানা ৯ম বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হন। সব কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন আবদুল মতিন খসরু এবং সমর্থন করেন পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য।
এরপর সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব চাওয়া হয় কাউন্সিলরদের কাছ থেকে। জাহাঙ্গীর কবির নানক ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করে এবং আবদুর রহমান তার প্রস্তাব সমর্থন করে। তিনিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
এর আগে পৌষের শীতকে উপেক্ষা করে কাউন্সিলে ৭ হাজার ৩৩৭ জন কাউন্সিল এসে জড়ো হন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। নতুন নেতৃত্বের নির্বাচন করার আগে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কাউন্সিলরা বক্তব্য রাখেন।
কাউন্সিল অধিবেশন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু আদর্শ মেনে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে রাজনীতি করতে হবে। সবাইকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়তে হবে এবং সে জায়গা থেকে শিক্ষা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাজনীতি করতে হবে। আমি সামনে আরেকটি বই প্রকাশ করতে যাচ্ছি, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট। তার বিরুদ্ধে কত অপপ্রচার ছিল, সব থাকবে সেখানে।
এবারের কাউন্সিলে শুরুতে সভাপতির বক্তব্যের পর সাধারণ সম্পাদক তার রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। এরপর দলীয় ঘোষণাপত্র, দলীয় বাজেট এবং গঠনতন্ত্র পাস করা হয় কাউন্সিল থেকে।
এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে গড়তে সোনার দেশ, এগিয়ে চলেছি দুর্বার।