সাম্প্রতিক শিরোনাম

আজ বাঙ্গালীর মুক্তি ও সমতার ঐতিহাসিক "বাকশাল দিবস"

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযু’দ্ধে বিজয় লাভের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ফিরে আসেন (স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন) এবং ১১জানুয়ারি ১৯৭২সালে অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করে দেশের সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন যু’দ্ধবি’ধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ যখন সকল বাধা অতিক্রম করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই শুরু হয় দেশী-বিদেশী প্রতিক্রিয়াশীল চ’ক্রের উট ষ’ড়যন্ত্র। এর ফলে দেশের আ’ইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে দেখা দেয় নিত্যপণ্যে মূল্যের ঊর্ধ্বগতি।
ফলস্বরূপ ১৯৭৪ সালে দেখা দেয় দু’র্ভিক্ষ (কিন্তু মজার কথা এই যে ১৯৭১সালে মুক্তিযু’দ্ধে বিজয় লাভ করার পরের ২ বছর ৭২- ৭৩ সালে কোন খাদ্য ঘাটতি বা দু’র্ভিক্ষের দেখা দেয়নি)। এতে করে সহজে অনুমেয় হয় যে এই ‘দুর্ভিক্ষ ও অন্যান্য অরা’জক পরিস্থিতি তৈরি পেছনে ছিল আন্তর্জাতিক চ’ক্রান্ত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে রক্ষার্থে এবং আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে বাংলাকে গড়ে তুলতে প্রথম ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ + ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ মোজাফফর) + বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কে সাথে নিয়ে তিন দলীয় জোট গঠন করেন।
এই জোট প্রাথমিকভাবে সফলতা অর্জন করাতে বাংলাদেশকে সুখী-সমৃদ্ধ, কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আরও বৃহৎ পরিসরে একটি মাত্র দল ও ও কার্যকরী প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ + ন্যাশনাল লিগ (আতাউর রহমান খান) + জাতীয় গণমুক্তি ইউনিয়ন (হাজী মোহাম্মদ দানেশ) + ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ মোজাফফর) + বাংলাদেশ কংগ্রেস (মনোরঞ্জন ধর) + বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) + কৃষক শ্রমিক সমাজবাদী দল (মিঃ মাইকেল সুশীল অধিকারী) + বাংলাদেশ সেনাবাহিনী + বাংলাদেশ বিমান বাহিনী + বাংলাদেশ নৌ বাহিনী + বাংলাদেশ রা’ইফেলস (বর্তমান বি জি বি) + বাংলাদেশ পুলিশ +জেআরবি (৭৫ এরপর পরিবর্তনে পর জেআরবি সেনাবাহিনীতে একীভূত হয়ে যায়) এবং প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে এই নবগঠিত দলের সদস্য করে (এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন আর তা হল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সকল সদস্য বাকশালের সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক ছিল)।
বাকশালের মূল উদ্দেশ্য ছিলো দেশের উন্নয়নে যে পরিকল্পনা করা হতো কিংবা জনগনের জন্য যা বরাদ্ধ করা হতো তা জনগনের কাছে পৌঁছাতো না। কিংবা আমলারা তা ভোগ করে নিতো। বঙ্গবন্ধু যখন বিষয়টি বুঝেন ও আন্তর্জাতিক ষড়’যন্ত্র সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারনা পান তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন দেশ রক্ষার্থে সবাইকে এক প্লাটফর্মে আনতে হবে। দেশে অনেকগুলো দল থাকলে আ’ন্দোলন, সং’গ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমে উন্নয়ন ব্যহত হবে। এছাড়াও কৃষক, শ্রমিক আর সাধারন জনতা(আমলারা) সবাই যে একই, একই দেশের জনগণ, সবাই সমান সেটা সবার মাঝে তুলে ধরতে এই পরিকল্পনার নাম দেয়া হয় কৃষক-শ্রমিক-জনতার বাকশাল।
যে মাননীয় সদস্য বাকশালের সদস্য পদ গ্রহণ করবেন না তার সংসদ সদস্য পদ বা’তিল বলে ঘোষণা করা হয় এবং আসনটি শূন্য ঘোষণা করে পুনঃ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল) বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠন করেন। নবগঠিত এ’কদলীয় শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে।
শাসন ব্যবস্থা এক দলীয় থাকলেও এতে শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতা করা এজেন্টরা ছাড়া বাকি সবারই যোগ দেয়ার আইন ছিলো। তখনকার হিসেব মোতাবেক আনুমানিক ৫০ হাজার মাদ্রাসা শিক্ষক বাকশালে নিজেদের নিবন্ধ ও করেন। সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, জেআরবি কিংবা রা’ইফেলস সবার সর্বসম্মতিতে এই বাকশাল কার্যকরের পথে অগ্রসর হন বঙ্গবন্ধু। অন্য দিকে বঙ্গবন্ধু আরেকটি বিষয় পর্যালোচনা করেন বাকশালের বি’রোধীতা কারা করছে আর তাদের যুক্তি কি! বি’রোধীদের সংখ্যা আনুমানিক ৬ শতাংশ ছিলো এবং তাদের সাথে মতবিনিময়েও দেশের কল্যানকর কোনো সংযুত্তি পায়নি বাকশাল বোর্ড।
উল্লেখ্য ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এর মূল লক্ষ্য ছিল ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা এবং ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ থেকে পূর্ণমাত্রায় বাকশাল কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এর স্লোগান ছিল “জয় বাংলা এক দেশ এক নেতা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ জয় বাংলা।”

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...