বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানে করে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আনা হবে।
পাঁচ দফা জানাজা শেষে আগামীকাল শুক্রবার (১৯ মার্চ) তাঁর মরদেহ দাফন করা হবে নোয়াখালীতে পারিবারিক কবরস্থানে।
এদিকে, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশজুড়ে এক দিনের শোক পালন করবে বিএনপি।
গতকাল বুধবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রিজভী সাংবাদিকদের জানান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে বিএনপি বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশজুড়ে শোক পালন করবে।
এই উপলক্ষে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।
মওদুদ আহমদের কফিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে এসে পৌঁছাবে। শুক্রবার সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে জানাজা। পরে নোয়াখালীর বসুরহাট ও কোম্পানীগঞ্জে পৃথক জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে আরেক দফা জানাজার পর তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
মওদুদ আহমদের একান্ত সহকারী মোমিনুর রহমান সুজন সাংবাদিকদের বলেন, স্যারের মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আনার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে।
বিমানের টিকিটও হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর সময় ৩টা ৫০ মিনিটে বিমানে কফিন রওনা হবে। ঢাকায় পৌঁছাবে সন্ধ্যায়। বিমানবন্দর থেকে স্যারের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে।
পরদিন শুক্রবার ঢাকায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় জানাজা সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
সুজন আরো জানান, ঢাকায় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মওদুদ আহমদের কফিন হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হবে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। সেখানে বাদ আসর কোম্পানীগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে জানাজার পর বসুরহাটেও জানাজা হবে।
পরে নিজের বাড়ির আঙিনায় আরো একটি জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
গত মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালে মারা যান মওদুদ আহমদ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।