তরুণ বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ঘাড়ের ওপর চেপে বসেছে। আমরা এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মেনে নেব না।
আমি কথা দিচ্ছি এই আন্দোলন সংগ্রাম সফল করতে এই রক্ষীবাহিনীর পতন ঘটাতে প্রথম বুলেটটা নেওয়ার জন্য বুক পেতে দেব। পেছনের দিক দিয়ে পালিয়ে যাব না। আপনাদেরকে সাথে নিয়ে ইনশাআল্লাহ এই সাম্রাজ্যবাদী গোষ্টির পতন ঘাটাব।
বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ইশরাক বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও আমরা নিজেদের মধ্যে মারামারি, বিবাদ, বিভাজন, বিরোধ, মারামারি হানাহানি করছি।
এখানে লাভ কার হচ্ছে? এখানে একটি স্বার্থবাদী, মাফিয়া গোষ্ঠী, ভূমিদস্যু, যারা বিএনপির সময় ব্যবসা করেছে, আওয়ামী লীগের সময়েও ব্যবসা করেছে, জমি দখল করেছে, বাংলাদেশের সম্পদ লুটপাট করেছে গরিব দুঃখী কৃষকদের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যে রূপে দাঁড় করিয়েছেন, সেটি আমাদেরকে পাকহানাদার বাহিনী এবং রক্ষীবাহিনীর কথা মনে করিয়ে দেয়। আমাদের আজকের গণতন্ত্রের এই সংগ্রামে প্রায় এক হাজার নেতা-কর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে।
আমাদের সিলেটের জনপ্রিয় নেতা ইলিয়াস আলী, ঢাকার কমিশনার চৌধুরী আলমসহ অনেকে গুমের শিকার হয়। ২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যে আন্দোলন করেছিলো, সেসময় ২৭ জন নেতাকর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছিলো। তাদের লাশটি পর্যন্ত আজও পাওয়া যায়নি।
জিয়াউর রহমানের যে খেতাব, যেটা তিনি নিজে যুদ্ধ করে অর্জন করেছেন, সেটা বাতিল করার চেষ্টা করছে সরকার। এই যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী যিনি জিয়াউর রহমানের কবর অন্যত্র সরানোর মতো উদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যও প্রদান করেছেন।
আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং বর্তমান প্রজন্মের আওয়ামী লীগের আমার বন্ধুরা এবং যারা দেশের নাগরিকরা আছেন, তাদেরকে বলতে চাই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে আপনাদের মাঝে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, বিভক্তি সৃষ্টি করছে সেটা বন্ধ করুন।
আমরা আগামীতে সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামীতে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা সবাইকে তাদের যথাযথ সন্মান দিতে চাই।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, বরিশালের মজিবর রহমান সরোয়ার, খুলনার নজরুল ইসলাম মঞ্জু, রাজশাহীর মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, চট্টগ্রামের শাহাদাত হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটির তাবিথ আওয়াল প্রমুখ।