মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের বরাবরই সিদ্ধান্ত ছিল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার।
শুধুমাত্র করোনার কারণে আমরা গত দুইটি উপনির্বাচনে (যশোর ও বগুড়া) যোগ দিয়েও পরবর্তিকালে আমরা প্রচারণায় যাইনি, আমরা সরে দাঁড়িয়েছি। আমরা উপজেলা নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে আমরা অংশগ্রহণ করব সেই সিদ্ধান্তই আছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
ফখরুল বলেন, আমরা ঢাকা-৫, ঢাকা-১৮, নওগাঁ-৫ ও সিরাজগঞ্জ-১ উপনির্বাচনে অংশ নেব। সে হিসেবে আগামী ১০ তারিখে নমিনেশন ফরম বিক্রি করা হবে।
১২ তারিখে পার্লামেন্টারি বোর্ড সাক্ষাতকারের জন্য বসবে প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্যে।
ইউএনওর ওপর হামলার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, দিনাজপুরের ঘোড়ারঘাটে ইউএনওকে রাতে তাকে হত্যার জন্য এভাবে আহত করা হলো, তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন।
আর দেখা গেলো অল অন এ সাডেন র্যাব একটা প্রেস কনফারেন্স করে বলে দিলো যে, এটা চুরির জন্য এই আক্রমণ করা হয়েছে।
যেটা আমরা মনে করি যে, একেবারেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক প্রতিচ্ছবি। দুইটি দিক থেকে।
বাড়িতে ঢুকে যে কাউকে মেরে দেয়া যায়, কাউকে আঘাত করা যায়। আরেকটা হচ্ছে যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থাগুলোকে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না বলেই চট করে একটা সংবাদ সম্মেলন করে বলে দেয় যে, চুরির জন্য ঘটনা ঘটছে। গোটা বিষয়টা ডাইভার্ট হয়ে গেল।
তিনি বলেন, আমরা পরে কী দেখতে পারছি? দেখতে পারছি বলা হচ্ছে যে, সরকারি জমি জোর করে দখল করছে অথবা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে সরকারি দলের লোকেরা, এই উপজেলা কর্মকর্তা তিনি বাধা দিয়েছেন বা দেননি যে কারণে তার ওপরে এই আক্রমণ হয়েছে।
এই অভিযোগ অনেক এসেছে এবং সরকারি দলের লোকজনকে গ্রেপ্তার করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে- যেটা খুবই বিপদজনক। আজকে এদেশে আসলেও কোনো সরকার নেই। যে সরকার আছে তাদের একমাত্র নিজেদের দলীয়করণ করা, নিজেদের বিত্ত তৈরি করা ছাড়া অন্য কোনো আগ্রহ নেই।
অবিলম্বে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও পুনরুল্লেখ করেন ফখরুল।