২০০৬ সালের শেষ দিকে যখন খালেদা জিয়ার কার্যকাল শেষ হওয়ার মুখে তখন প্রবল হিংসাত্মক ঘটনা শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশে। কেয়ারটেকার সরকার গঠন করে ভোটের কথা চলছে। রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ভোট পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন ঠিক হয়। ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসের ভোটের আগে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা জারি করে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমদকে কেয়ারটেকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার করেন। দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে শেখ হাসিনাকে জেলে পাঠানো হয়। প্রণববাবুকে দেখেছি সে সময় খুবই বিষণ্ন। বারবার বলতেন, শুধু তো শেখ হাসিনার জন্য নয়। খারাপ লাগছে, শঙ্কা হচ্ছে বাংলাদেশের শান্তি ও গণতন্ত্রের বিপন্নতা নিয়ে।
প্রণববাবু নিজে তাঁর আত্মজীবনীতে বলেছেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ ছয় দিনের সফরে দিল্লি আসেন। প্রণববাবু তাঁকে অনুরোধ করেন, যাতে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দেওয়া হয়। প্রণববাবু লিখছেন উনি বলেছিলেন ইনফরমালি। তখন সেনাপ্রধান বলেন, কিন্তু মুক্ত হয়ে এলেই শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হয়ে আমাকেই সেনাপ্রধানের পদ থেকে তাড়িয়ে দেবেন। প্রণববাবু লেখেন, তিনি তাঁকে বলেন যে তিনি ব্যক্তিগত দায়িত্ব নিচ্ছেন, যাতে হাসিনা ক্ষমতাসীন হলেও তাঁকে না সরানো হয়। প্রণববাবু সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চান এ ব্যাপারে মার্কিন হস্তক্ষেপ চেয়ে। তিনি খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা এই দুজনকে মুক্ত করার জন্য সব রকম চেষ্টা করেন। এমনকি পরে জেনারেল মইনের ক্যানসার রোগের মার্কিন মুলুকে চিকিৎসার জন্য সব রকম চেষ্টা করেন।
তিনি ভারতের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এর আগে অর্থমন্ত্রী হয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, লোকসভার কংগ্রেস দলনেতাও হয়েছেন। এমন ভারতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিরল, যিনি প্রধানমন্ত্রীর পদটি ছাড়া কার্যত প্রায় সব শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তবু তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি বাংলাদেশের পরম মিত্র। সেই পরম মিত্র কিছুটা আকস্মিকভাবেই বিদায় নিলেন।
মনে আছে প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রথমবারের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন। সাউথ ব্লকে তাঁর ঘরে ঢুকে বললাম, প্রথম বাঙালি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন আপনি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি একগাল হেসে বললেন, প্রথম শুভেচ্ছা জানিয়ে ফোনটি করেছেন আর একজন বাঙালি, তিনি শেখ হাসিনা। সালটা ছিল ১৯৯৫। প্রণববাবু বারবার বলতেন বাংলাদেশ আর ভারতের সম্পর্কটা নিছক দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক নয়। দুটি দেশের তো আসলে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা সব নিয়ে নাড়ির বন্ধন।
১৪তম সার্ক সম্মেলনের জন্য ড. ফখরুদ্দীন আহমদ দিল্লি আসেন। তারপর ২০০৭ সালের ১ ডিসেম্বর প্রণববাবু ঢাকা যান ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ত্রাণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে। নভেম্বর মাসে হয়েছিল সে ঘূর্ণিঝড়। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা বিপুল ভোটে জেতেন। সেদিন প্রণববাবুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এত খুশি তাঁকে কোনো দিন দেখিনি। প্রণববাবু বলেন, শেখ হাসিনা আমার পারিবারিক বন্ধু। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কার্যকলাপ করলে তাঁকে অভিভাবকের মতো ধমক দিতেন। বলতেন, এমন করবেন না। তিনি কত কষ্ট করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment