মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসুন দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে সুষ্ঠু গণতন্ত্রে ফিরে যাই। সকলের মত ও চিন্তার স্বাধীনতার ভিত্তিতে সুষ্ঠু গণতন্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে একত্রে কাজ করি।
পুনরায় ক্ষমতাসীন দলকে ইতিহাস বিকৃত করার এই ঘৃণ্য তত্পরতা পরিহার করে দেশ ও জাতির স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের পথে আসার আহ্বান জানাই। অন্যথায় এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হচ্ছে একের পর এক মিথ্যা মামলা। বিচার- বহির্ভূত প্রক্রিয়ায় হাজার হাজার মানুষকে হত্যা, গুম ও খুন আজ সরকারের দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে। যা জাতিসঙ্ঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
রাজনৈতিকভাবে চরম দেউলিয়া হয়ে জনগণের ওপর আস্থা হারিয়ে একমাত্র রাষ্ট্রশক্তির ওপরেই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এই সরকার। এখন আর বর্তমান সরকারের কোনো রাজনীতি নেই। তাই সরকারে টিকে থাকার জন্য তারা অপরাজনীতিতে নেমেছে। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকেই ব্যবহার করে চলেছে দেশের মালিক জনগণের বিরুদ্ধে।
করোনা বিপর্যয়, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও জাতির এহেন মহাসংকটকালে বিভাজন নয়, দরকার ঐক্যবদ্ধ সম্মিলিত প্রয়াস। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে দল হিসাবে আমরা ইতোপূর্বে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলাম।
জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে যে অসুস্থ ক্যাম্পেইন ও প্রপাগান্ডা শুরু করা হয়েছে তা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানাই।