বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, মানুষের নাগরিক অধিকারে বিশ্বাস করে না।
তাই ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ সব কিছু বন্ধ করেছে। একাত্তরে পাক হানাদারদের পৈশাচিক আচরণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সব আচরণ মিলে যাচ্ছে। আ.লীগের আত্মায় এখন ইয়াহিয়া ও টিক্কা খান ভর করেছে।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ন্যায়, নীতি, সত্যের কোনো দাম নেই। নিজের পরিবার-পরিজন ও সন্তানের কথা চিন্তা না করে নিজের কমান্ডারকে হত্যা করে যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন, সেই জিয়াউর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ২৫ ও ২৬ মার্চ ব্যারিকেট দেয়া বাঙালিদের হত্যা করেছে। এটা শুধু মিথ্যা নয়, এটা জলজ্যান্ত জঘন্য অপপ্রচার।
তিনি বলেন, দেশে এখন গুণী মানুষের কদর নেই। মুক্তিযোদ্ধারা আজ লাঞ্ছিত হচ্ছে সরকারের কাছে। ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসেও পর্যন্ত কোনো মিছিল-মিটিং করতে দেবে না। এই গোটা সময়টাতে মানুষ র্যালি করবে, কেউ আলোচনা সভা করবেন।
কিন্তু সরকার সব বন্ধ করে দিলেন। আওয়ামী লীগ যে চেতনার কথা বলে তার সাথে স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক নেই বলেই তো ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ সব সভা সমাবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। এটাই তো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী কাজ।
স্বাধীনতা মূল কথা মানুষের অধিকার সংরক্ষণ করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ তা কথা বলবে নির্ভীক চিত্তে, এ নিশ্চয়তা দেয়া। ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইয়াহিয়া, টিক্কা খানরা যে কাজ করেছিলেন, গোটা দেশকে অবরুদ্ধ করে হানাদার বাহিনী যে পৈশাচিকতা করেছিল, তার সাথে আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি আচরণ মিলে যায়।
হানাদার বাহিনী যে গণহত্যা, নারী নীর্যাতনসহ যা কিছু করেছে তার সাথে আওয়ামী লীগ সরকারের সবকিছু মিলে যায়। ওদের আত্মা হচ্ছে ইয়াহিয়া খানের আত্মা, ওদের আত্মা হচ্ছে টিক্কা খানের আত্মা। ওরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, মানুষের নাগরিক অধিকারে বিশ্বাস করে না।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খোন্দকার আকরব হোসেন বাবলু, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।