সাম্প্রতিক শিরোনাম

আ. লীগের উপকমিটি: অবাঞ্ছিতরা ঢুকে পড়ছেন, অতঃপর পদ ভাঙিয়ে শুধু বাণিজ্য

রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ নিজেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। এ ঘটনা ক্ষমতাসীন দলটির জন্য বিব্রতকর বলে নেতারা মনে করছেন। এমন প্রেক্ষাপটে দলের ভেতরেই উপকমিটি নিয়ে আলোচনা চলছে। উপকমিটিগুলোর আকার নিয়ে অনেক নেতাই প্রশ্ন তুলেছেন। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, উপকমিটির সদস্যসংখ্যা নির্দিষ্ট না থাকার সুযোগে ঢালাওভাবে অবাঞ্ছিত লোকজন ঢুকে পড়ছেন। এতে যেমন নেতৃত্বের মান থাকছে না, তেমনি উপকমিটিও কার্যকর হচ্ছে না। এ ছাড়া অবাঞ্ছিতরা এই পরিচয় ব্যবহার করে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।

উপকমিটির সদস্য হয়ে অনেক নেতাই সাংগঠনিক পরিচয়ের ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তদবির ও টেন্ডার বাণিজ্যে লিপ্ত হন। কারণ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অপকর্ম করা সহজ হয়। সে কারণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা উপকমিটির আকার ছোট করার কথা বলছেন। তাঁরা সদস্যসংখ্যা এক শর নিচে রাখার পক্ষে।

আওয়ামী লীগের বিশাল আকারের উপকমিটিগুলো দলের জন্য অপ্রয়োজনীয় উপদ্রব হয়ে উঠছে। পুরো মেয়াদে দু-একটি উপকমিটি ছাড়া বেশির ভাগই সাংগঠনিক তেমন কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকে না। অথচ কারো কারো অপকর্মের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটিগুলো নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর। এ কমিটিগুলোর কাজের মাধ্যমে তরুণ নেতাদের বিভিন্ন বিষয়ে কাজে পারদর্শী করে গড়ে তোলা হয়। একটা সময় পর্যন্ত এ উপকমিটিগুলোতে যোগ্য ও বাছাই করা নেতাদের যুক্ত করা হতো। কিন্তু কয়েকটি উপকমিটিতে অনেক বেশি সদস্য যুক্ত করা হয়। দুঃখজনকভাবে এ সময়ে কিছু বিতর্কিত মানুষ কমিটিতে ঢুকে গেছেন। এঁদের জন্য নানা বিতর্ক উঠছে। আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে বসব।’

উপকমিটির সাম্প্রতিক ঘটনায় আমি বিব্রত। এই বড় আকারের উপকমিটি যে সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শুরু করেছিলেন সেটার অপব্যবহার করেছেন দলের কিছু কিছু নেতা।’

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানায়, আওয়ামী লীগের উপকমিটিগুলো করা হয় বিষয়ভিত্তিক সম্পাদকদের কাজের সুবিধার জন্য। প্রতিটি উপকমিটির সভাপতি করা হয় দলের উপদেষ্টা পরিষদের একজনকে। সদস্যসচিব হন কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট সম্পাদক। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আওয়ামী লীগের যাঁরা সদস্য তাঁরাও উপকমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হন। এর বাইরে দলের পরিশ্রমী, যোগ্য তরুণ নেতাদের উপকমিটির সদস্য করার কথা। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে এ সদস্যসংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। ফলে প্রভাবশালী নেতারা ইচ্ছামতো উপকমিটিতে সদস্য যোগ করেন। এই কারণে বিতর্কিত অনেকে কমিটিতে ঢুকে পড়েন।

২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলটির গঠনতন্ত্রে উপকমিটি রাখার সিদ্ধান্ত হয়। কমিটিতে যাঁরা অন্তর্ভুক্ত হন তাঁরা সবাই সহসম্পাদক পদধারী। তখন সাবেক ছাত্রনেতা, দলের ত্যাগী নেতাদের মধ্য থেকে বাছাই করে ৬০-৭০ জনকে উপকমিটির সহসম্পাদক করা হয়, যাঁদের অনেকেই পরে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। পরের কমিটিতে কোনো সহসম্পাদক পদ ঘোষণা হয়নি। এরপর ২০১২ সালের সম্মেলনের পর কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে ৬৬ জন সহসম্পাদকের নাম অনুমোদন দেওয়া হয়। যদিও পরে দলের একাধিক প্রভাবশালী নেতা নানাভাবে কয়েক শ জনকে সহসম্পাদক পদে অন্তর্ভুক্ত করে চিঠি দেন। একসময় এ সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি হয়ে যায়।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...