একই দিনে তিন কৃষকের ধান কেটে দিলো যশোর জেলা ছাত্রলীগের কয়েকটি টিমের একঝাঁক নেতা-কর্মীরা। যশোর জেলা ছাত্রলীগ নেতা আশা খান ও সাবেক সদস্য ইমন হোসেনের নের্তৃত্বে ৩টি টিম শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকের ধান কেটে দেয়।
করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকটের আশঙ্কায় কৃষকরা। করোনা ভাইরাস ঠেকাতে জেলায় জেলায় চলছে লকডাউন। ইতোমধ্যেই যশোর জেলা প্রশাসন যশোর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে।
এরই মধ্যে ইরি ধান কাটা মৌসুম শুরু হয়েছে। লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকটে পড়েছে কৃষকরা। তবে ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা আতঙ্কে ধানকাটা শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার যশোর জেলা ছাত্রলীগের ১টি টিম যশোর শহরের পুলেরহাট এলাকার অসহায় এক কৃষকের ধান কেটে দেয়।
যশোর শহরের মুড়লির মোড় এলাকার অসহায় দুই কৃষকের ধান কেটে মাড়াই করে দেয়াই অপর দুইটি টিম।
এই ধরনের কাজের জন্য ছাত্রলীগের কর্মীরা সব সময় প্রস্তুত আছে এবং কৃষকরা জানালেই ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিয়ে আসবে বলে জানায় যশোর জেলা ছাত্রলীগের নের্তৃবৃন্দ।
যশোর জেলা ছাত্রলীগ নেতা আশা খান বলেন, “করোনা ভাইরাস সৃষ্ট সঙ্কটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কৃষকদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি মহোদয়ের নির্দেশে এবং যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি আরিফুল ইসলাম রিয়াদ ভাইয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় আমাদের টিম সর্বদাই কাজ করে যাচ্ছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইমন হোসেন বলেন, “দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে সব সময়ই দাঁড়িয়েছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সেই মহান নেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সর্বদাই মাঠে আছি এবং থাকবো।”