সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া ও যুগ্ম মহাসচিব এহসানুল হক জসীম বলেছেন, সিলেটের এমসি কলেজে ধর্ষনের ঘটনা কিসের ইঙ্গিত। ক্ষমতার দম্ভে মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে তারই প্রমান নয় কি ? সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধুকে গণধর্ষনের মাধ্যমে নীতিহিন সমাজের নগ্ন বিপ্রিকাশ ঘটেছে।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, সমাজে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে চরম নৈতিক অবক্ষয়, আকাশ সংস্কৃতির বিরূপ প্রভাব, মাদকের বিস্তার, বিচারহীনতা, বিচার–প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা ও বিচারের দীর্ঘসূত্রতা। ধর্ষণ করলে অপরাধীর কোনো শাস্তি হবে না, এই মনোভাবের কারণে এর সংখ্যা বাড়ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতাসীনরা যখন অপরাধিদের আশ্রয়-পশ্রয় দেয় তখন সমাজে ও রাষ্ট্রে অপরাধ নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। অন্যদিকে যে কোন অপরাধ যখন রাজনৈতিক বিবেচনায় আড়াল হতে থাকে তখন অপরাধিরা ধরেই নেয় তারা আইনের উর্দ্ধে। সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধুকে গণধর্ষন অপরাধিদের আত্মঅহঙ্কার ও ক্ষমতার দম্ভেরই নগ্ন বহি:প্রকাশ। তারা ধরেই নিয়েছে তারা আইনের উর্দ্ধে। কারন, কলেজ ক্যাপম্পাস দখলের মাধ্যমেই তারা নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত হয়েছে।
তারা বলেন, বাংলাদেশে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন ও সেই আইনের কঠোর বাস্তবায়ন। উন্নত বিশ্বে যৌন হয়রানিকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। সেসব দেশে যে কোন যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থাও রয়েছে। বাংলাদেশে ঘরে বাইরে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটলেও এর বিরুদ্ধে এখনও নেই কোন সুনির্দিষ্ট আইন। ২০১০ সালে উচ্চ আদালতের দেয়া যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে নির্দেশনাটির বাস্তবায়নও নগণ্য৷ বিভিন্ন আইন ও নীতিতে নারীর প্রতি সহিংসতা গুরুত্ব পেলেও অবহেলিত থেকে গেছে যৌন হয়রানির মতো গুরুতর সমস্যাটি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার ৯ জন আসামিকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক আবরন দিয়ে এই ঘটনা আড়ালের কোন ধরনের অপচেষ্টা করা হলে তা আগামীতে ভয়াবহ ব্যাধিতে পরিনত হতে পারে। যা রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য শুভ হবে না।