করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসান। (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রিনা হাসান, দুই ছেলে সোহরাব আল হাসান ও সাকিব আল হাসানকে রেখে গেছেন।
হাসান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। সকাল থেকেই তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিল। দ্র্রুত তাকে গ্রামের বাড়ি থেকে অনেক চেষ্টা তদবির করে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের জন্য রাজধানী ছোট বড় সব হাসপাতালে গত দুইদিন হণ্যে হয়ে ঘুরেছে। কোথাও চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায়নি।
গত দুইদিন আগে আহসানউল্লাহ হাসানের শরীরের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। রাজধানীতে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে আশুলিয়ায় গ্রামের বাড়ি মশুরিখোলায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে তাকে শনিবার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আনা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের কোনো ব্যবস্থা না থাকাতে তাকে পুনরায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে রোববার সকালে গুলশানে সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একাদশ নির্বাচনে আহসানউল্লাহ হাসান ঢাকা-১৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া হাসান ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মিরপুর ৬নং ওয়ার্ডের টানা তিন দফায় নির্বাচিত কমিশনার ছিলেন। ১/১১ এর পরে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র হিসেবে মাসখানেক দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দুইভাগে বিভক্তির পর ২০১৭ সালে মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান হাসান। নেতাকর্মীদের কাছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। যে কোনো বিপদের সময়ে কর্মীরা তাকে কাছে পেত। তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে মহানগর বিএনপিতে নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,উত্তর বিএনপির সভাপতি এমএ কাইয়ুম পৃথক পৃথক শোকবার্তায় মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।