করোনাভাইরাসের চেয়েও বর্তমান স্বৈরাচারী দখলদার সরকার বেশি ভয়ঙ্কর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু।
অবৈধ সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টা লিপ্ত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং রুহুল কবির রিজভীসহ সব নেতৃবৃন্দের জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
দুদু বলেন, বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে, সেই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া অন্য কোন পথ নেই।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে; জবাবদিহিতাও নিশ্চিত হবে। আইন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে আজকে যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তারা সরকারি দলের হোক বা অন্য যে কোনো দলেরই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বিধাবোধ করবে না।
দেশে গণতন্ত্র না থাকার কারণ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের বিশ্বাসহীনতা তৈরি হয়েছে দাবি করে দুদু বলেন, মানুষের এই বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা দরকার।
দেশে যদি আইনের শাসন থাকতো তাহলে সুবিচারের প্রশ্ন আসতো না। দেশে যদি গণতন্ত্র থাকতো তাহলে সুবিচারের প্রশ্ন আসত না।
দেশে যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, তার চেতনা থাকলে সুবিচারের প্রশ্ন আসতো না। বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের কাছে স্বৈরতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত করেছে এই সরকার।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, দেশে করোনার আতঙ্ক থেকেও ভয়ঙ্কর ভাইরাস হচ্ছে বর্তমান স্বৈরাচারী দখলদার সরকার।
অবৈধ সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টা লিপ্ত।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এসকে সাদি, মাইনুল ইসলাম, আলিম হোসেন, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, আব্দুর রাজি, শফিকুল ইসলাম, মীর মমিনুর রহমান সুজন, এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।