দায়িত্বপালনে হিমশিম ও তদারকি ব্যর্থতার কারণে মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে বলে জানা গেছ। মূলত তিনটি মন্ত্রণালয় কেন্দ্রিক এ গুঞ্জন। মন্ত্রণালয়গুলো করোনা সংকট পরিস্থিতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
দলের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, করোনাভাইরাস আমাদেরকে একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করছেন। কিভাবে দেশের মানুষকে বাঁচিয়ে অর্থনীতিকে শক্ত অবস্থানে রাখা যায় তা নিয়ে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। নির্দেশনা দিচ্ছেন। কিন্তু তার ওইসব নির্দেশনা সবাই সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, এতে সমস্যার সমাধান হতে গড়িমসি হচ্ছে। তাই আমরাও শুনছি হয়তো স্বল্প পরিসরে রদবদল হতে পারে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর। কারণ কাকে দিয়ে মন্ত্রণালয় ভালো চলবে আর কাকে দিয়ে চলবে না এইটা তার থেকে আর কেউ ভালো বলতে পারবেন না।
এদিকে আগামী ৫ই মের পরপরই স্বল্প পরিসরে মন্ত্রিসভায় ওই পরিবর্তন হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে যশোরের এক এমপিকে বর্তমান সময়ের গুরুত্বপুর্ণ এক মন্ত্রণালয়ে আনা হতে পারে। মন্ত্রী বা প্রতিমিন্ত্রী হিসেবে তার নাম শোনা যাচ্ছে।
অন্যদিকে ঢাকার পাশের এক মন্ত্রীকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে। তাকে অন্য কোন মন্ত্রণালয়ে বদল করা হতে পারে। অন্যদিকে বিভিন্ন জেলায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণে সঠিক নির্দেশনা মানতে না পারায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রদবদল আনা হতে পারে।
দলীয় নেতারা জানান, করোনা সংকটকালে মন্ত্রিসভা ও দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে হাইকমান্ড। ৪৮ সদস্যবিশিষ্ট বর্তমান মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রী ২৫, প্রতিমন্ত্রী ১৯ ও উপমন্ত্রী ৩ জন রয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আছে জনপ্রশাসন এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।