মার্চ মাসের গোড়া থেকেই বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বিভিন্ন সহযোগী। গণসংগঠনসমূহকে সাথে নিয়ে ‘বিপ্লবী মানবতাবাদের’ আদর্শিক প্রেরনায় সারা দেশে করোনা মোকাবেলায় তৎপর রয়েছে।
জনগনের স্বার্থরক্ষায় রাজপথে সোচ্চার সিপিবি
জনগনের স্বার্থরক্ষায় রাজপথে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি তারা গত ১০ মে পর্যন্ত যে সব সহায়তা তৎপরতা চালিয়েছে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলোঃ
১) প্রচার অভিযানঃ করোনা মহামারির বিপর্যয়ের স্বরুপ নিয়ে জনগণকে সতর্ক করতে ও তা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জনগনের করনীয় তুলে ধরতে মার্চ মাসেই লাখ লাখ প্রচারপত্র ছাপিয়ে সারাদেশে শহর-গ্রামে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালান হয়েছে। ওনেক জেলায় আ বিষয়ে মাইক দিয়ে রিক্সায়, সিএনগিতে, ট্রাকে চেপে প্রচারনা চালানো হয়েছে।
২) হ্যান্ড স্যানিটটাইজারঃ ১৭ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ছাত্র-যুবক-সাংস্কৃতিক কর্মীদের ‘সেচ্ছাসেবক ব্রিগেড’ গঠন করে তাদের শ্রমে মোট প্রায় ৪ লাখ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন ও বিতরণ করা হয়েছে, যা সাধারণ মানুষ সহ বড় বড় হাসপাতালে ডাক্তার, রোগীরাও ব্যবহার করছেন। এ ছাড়াও কয়েক শ স্প্রে মিশন বিতরণ ও ব্যবহার করা হয়েছে। ঐ সময় থেকে একদল ছাত্র ও যুব কমরেডগন কেন্দ্রের ‘কন্ট্রোল সেন্টারে’ অবস্থান করে টানা দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
হ্যান্ড সেনিটাইজার উৎপাদন ও বিতরণ
৩) প্রায় ৫০ হাজারের বেশি ফেস মাস্ক তৈরি ও সংগ্রহ করে তা সারা দেশে বিতরণ করা হয়েছে।
৪) দেশের বিভিন্ন এলাকায় জীবানু নাশক ছিটিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে।
৫) বেশ কয়েকটি জেলায় পাড়ায়-পাড়ায় সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা সহ ‘স্যানিটেশন কেন্দ্র’ চালু করা হয়েছে।
৬) ২/৪ টি জেলায় বিশেষ ‘ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস’ চালু করা হয়েছে।
৭) অন্ততঃ ৪/৫ টি জেলায় ইতোমধ্যে বিশেষ ব্রিগেড গঠন করে কৃষকদের পাশে থেকে ধান কাটার কাজে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহন করা হয়েছে।
৮) চিকিৎসকগণকে নিয় ২৪ ঘন্টাব্যাপী ‘হেল্প লাইন’ চালু করা হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন টেলিফোনে বহু রোগীকে চিকিৎসা-পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
৯) কর্মহীন নিরন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে ৫০ হাজারেরও বেশী মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে । বিপদে আছেন, এমন পরিবারের খবর পেলে তাদের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেওয়া হচ্ছে । এলাকায় যারা সরকারী সহায়তা পাচ্ছেন না, তাদের তালিকা প্রশাসনের কাছে পৌছে দিয়ে ঐ সব মানুষের খাদ্য প্রাপ্তিতে সহায়তা করে চলেছে ।
১০) দেশের ৪/৫ টি স্থানে ‘ফুড কোর্ট’ স্থাপন করে প্রতিদিন অনাহারী মানুষকে ‘তৈরী খাদ্য’ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৫ হাজার মানুষের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১১) বেশ কিছু সংখ্যক দুঃস্থ পরিবার, যারা সাহায্য চাইতে পারছেন না অথচ প্রয়োজন আছে, তাদের খোঁজ জা মানবিক কার্যক্রম
১২) কিছু জেলায় গঠিত স্বেচ্ছাসেবক টিমের তালিকা স্থানীয় প্রশাসন , বিএমএ কে দেওয়া হয়েছে । প্রয়োজন মত এই টিম মানুষের পাশে দাড়িয়ে কাজ করছে।
১৩) বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে যুক্ত কমরেডগন ঐসব সংগঠনের খাদ্য সহায়তা, রান্না করা খাবার বিতরন ইত্যাদি কাজ করে চলেছেন।