চলমান কর্মসূচি দিয়ে মামলার আসামিই হতে হবে- দলীয় প্রধানকে মুক্ত করা যাবে না, এমন ধারণা থেকেই তৃণমূলের কর্মীরা বিক্ষোভ থেকে বিরত থাকছে বলেও জানান তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদলের এই মিছিল জানান দিল বিএনপি ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির। চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সারাদেশের মতো রাজধানীর থানায় থানায় এই কর্মসূচি পালনের নির্দেশ থাকলেও তাতে সাড়া দেননি নেতাকর্মীরা। এ প্রসঙ্গে ধানমন্ডি থানা বিএনপি’র সভাপতি শেখ রবিউল আলম রবি বলেন, ‘এই ধরণের কর্মসূচীতে খুব বেশি কোন ফলাফল আসবে বলে কর্মীরা মনে করেন না। এ ক্ষেত্রে বিএনপি কী করতে চায় সেটি কর্মীদেরকে নিশ্চিত করতে পারলেই তারা মাঠে নামবে। বিচ্ছিন্ন মিছিল করে কর্মীরা ঝঁকি নিতে চায় না।’
দলের নীতি নির্ধারকরা প্রত্যাশা অনুযায়ী কর্মসূচি না দেয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নানা দাবি তোলার পাশাপাশি ক্ষোভ জানাতে সরব হচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূলের কর্মীদের মনে ক্ষোভ থাকলেও তারা জীবনবাজি রেখে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত বলে জানান আরেক নেতা। বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় বলেন, ‘তৃণমূল কিন্তু সব হারিয়ে ফেলছে। তাদের আয়-রোজগার, টাকা-পয়সা নাই। রাজপথ ছাড়া সমাধান নাই। আমরা বৃহৎ আন্দোলন চাই। আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নেত্রীর মুক্তি চাই। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন চাই।’
দল টিকে থাকে তৃণমূলের ওপর ভর করে। তাই রাজনীতি ও আন্দোলনে সফল হতে হলে মাঠের কর্মীদের আস্থায় আনার বিকল্প দেখছেন না বিএনপির এই নীতি নির্ধারক। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, ‘প্রত্যেকটা কর্মীই ভাবে রাস্তায় নামলে পুলিশ আক্রমণ করবে। এই যে আশঙ্কা। এই আতঙ্ক মন থেকে পরিহার করতে হবে। পরস্পর দোষারোপটাকেও প্রত্যাহার করতে হবে। নেতাদের উচিত না কর্মীদেরকে নেতিবাচক কথা বলা। তেমনি নেতাদের সম্পর্কে কর্মীদের নেতিবাচক উক্তিগুলি আন্দোলনের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে না। এখন তো ঘরে বসে থাকার কোন সুযোগ নাই। কি হবে? নেত্রী জেলে আছে। আমরাও না হয় জেলে থাকব।’
Leave a Comment