রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতন্ত্রে সমালোচনা সহ্য করতে হবে। সেই সমালোচনা সহ্য করার মতো একটা বৃহৎ মন থাকতে হবে। সেই বৃহৎ মন তারেক রহমান সাহেবের রয়েছে।
তারেক রহমান সাহেবের যারা কার্টুন এঁকেছে তাদের তিনি বলেননি একটি ফুলের টোকাও দিতে। তাই আমি বলব বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তারেক রহমানের মধ্যে বিশাল বড় পার্থক্য।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৫তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন তারেক রহমান দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তার বিরুদ্ধে কার্টুন আঁকা হয়েছে। আজকে কার্টুন আকার অপরাধে কারাগারে মুশতাকের মৃত্যু হলো তার প্রতিবাদে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল প্রত্যেকটি অঙ্গসংগঠন প্রতিবাদ করছে। বিএনপি বলছে প্রতিবাদ করতে।
তাহলে কেন আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে মানব না প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তারেক রহমান কেন দেশনায়ক নয়? তিনিই দেশনায়ক, গণতন্ত্রের প্রতীক। তারেক রহমান নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেছেন।
জাতীয়তাবাদী শক্তির ধারাবাহিক রাজনীতির প্রতীক। আর বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনিতো চ্যাম্পিয়ন। তিনি বাকশালের অন্ধকার গুহা ও স্বৈরাচার অন্ধকার গুহা থেকে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছেন।
ওয়ান ইলেভেন থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করার জন্য সরকার টার্গেট কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তাদের প্রথম টার্গেট ছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করা, এবং গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের প্রতীক তারেক রহমানকে শুধু বন্দি করাই হয়েছিল না তার ওপর অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল সে কারণে আজও তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। তার পরেও তারেক রহমান থেমে থাকেননি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে এখনো অবিচলভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
রিজভী বলেন, আমি আগেই বলেছি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করতে হবে, গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাতে হবে এগুলো সরকারের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ। মুশতাককে কারা হেফাজতে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
কার্টুনিস্ট কিশোরকে নির্যাতন করা হয়েছে কিন্তু আইনমন্ত্রী এবং তথ্যমন্ত্রী কি বললেন- এগুলো কিছুই করা হয়নি অথচ আমরা গতকালকে পত্র-পত্রিকায় দেখতে পেলাম কি অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে কার্টুনিস্ট কিশোরের ওপর।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।