চকরিয়ায় সেতুমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে নির্ঘুম রজনী কাটাচ্ছে এমপি জাফর আলম

দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির আগমন উপলক্ষে আগামীকাল ২২ জানুয়ারী চকরিয়া কলেজ মাঠে স্বরণকালের বৃহত্তর জনসভার আয়োজন করেছে আওয়ামীলীগ। আর এই জনসভাকে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিতের মাধ্যমে জনসমুদে পরিণত করতে গত দশদিন যাবত নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। প্রতিদিন সকালে তিনি চকরিয়া পেকুয়া উপজেলা, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা ও চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন জনপদে ছুটে যাচ্ছেন।
আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘন্টা পরপর বৈঠক মতবিনিময় সভা করছেন। পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে ইতোমধ্যে বেশ কটি প্রস্তুতি সমাবেশ করেছেন। এমপি জাফর আলমের বিরামহীন প্রচারণা ও কর্মদক্ষতার ফলে বর্তমানে চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার ২৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা জনপদের প্রায় ৬ লাখ মানুষের কাছে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির চকরিয়া কলেজের জনসভার বার্তাটি পৌছাঁনো হয়েছে। পাশাপশি প্রতিটি অঞ্চল থেকে নেতাকর্মীরা যাতে জনসভায় আসতে পারেন সেইজন্য পরিবহনের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন এমপি জাফর আলম।
সেই আলোকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপিকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করেছে চকরিয়া উপজেলার আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তার আগমনকে ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে। এজন্য পথে পথে নির্মাণ করা হচ্ছে অর্ধ-শতাধিক তোরণ। এছাড়া গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টে লাগানো হচ্ছে ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড। অনুষ্ঠিতব্য জনসভায় চকরিয়া-পেকুয়া থেকে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল ২২ জানুয়ারী চকরিয়া সরকারি কলেজ মাঠে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সংবর্ধনা সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয়, জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
জানা গেছে, কক্সবাজার থেকে চকরিয়া উপজেলায় ঢুকার পথ খুটাখালী থেকে শুরু করে আজিজনগর পর্যন্ত মহাসড়কের ১৯ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অর্ধ-শতাধিক শুভেচ্ছা তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ব্যানার, পোস্টার লাগানো হয়েছে। সেই সাথে সংবর্ধনাসভা সফল করার লক্ষ্যে চকরিয়ায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মী সভা করছে। এছাড়া আ’ইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাপক প্রস্ততি নিয়েছে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। ওবায়দুল কাদেরের আগমনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে গতকাল সোমবার চকরিয়া কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিতব্য সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির জনসভার সর্বশেষ প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এবং মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।
জনসভার মাঠ পরির্দশনে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক লায়ন কমরউদ্দিন, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাংগীর আলম, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, পৌরসভা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ওয়ালিদ মিল্টন, সহসভাপতি আমান উল্লাহ আমান, কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা পরিমল বড়ুয়া, পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান লিটন, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম, চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ, সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির, অর্থসম্পাদক আজিজুল হক, আওয়ামীলীগ নেতা লায়ন আলমগীর চৌধুরী, কাকারা ইউপির সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাইফুদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব জাফর আলম জানান, দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপির চকরিয়ায় আগমন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি এই প্রথমবারের মতো চকরিয়ায় আসছেন। তাই নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় শুভেচ্ছা তোরণ নির্মাণ করছেন। আশা করছি, আগামীকালের জনসভায় স্বরণকালের জনসমাগম ঘটবে।