উত্তরার সাতটি থানা এলাকার ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ও ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
রবিবার ১০টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণখানে গুম হওয়া ছাত্র নেতা নূর হোসেন হিরুর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রবিবার আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও নগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জু গুম হওয়া ছাত্রনেতার বাসায় যান।
তাবিথ আউয়াল আসার খবরে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কফিল উদ্দিন আহম্মেদ ও এসএম জাহাঙ্গীরও নূরের বাসায় যান।
উত্তরার সাতটি থানা এলাকার ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী জাহাঙ্গীরকে বাসায় ঢুকতে বাধা দেন। বাধা দেওয়ার এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর ও তার লোকজনের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাদের হট্টগোল হয়।
তাবিথ আউয়ালের হস্তক্ষেপে বাসায় ঢুকলেও একটি রুমের মধ্যে একপ্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন জাহাঙ্গীর।
এ সময় ছাত্রদলের নেতারা জাহাঙ্গীরের উপস্থিতিতে তাবিথ আউয়াল ও নগর বিএনপির সহ-সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আঞ্জুর কাছে উত্তরায় জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রায় ১৫ জন ছাত্রদল নেতার মাথা ফাটানোর বিষয়টি তুলে ধরেন।
গুম হওয়া ছাত্রনেতা হিরুর বড় ভাই আমজাদ হোসেন তার নিজ ওয়ার্ডে বিএনপির মনোনয়ন চাইলেও তাকে মনোনয়ন না দিতে দলের হাইকমান্ডের কাছে জোর বিরোধিতা করেন জাহাঙ্গীর। হিরুর বড় ভাই আমজাদকে বিএনপির কমিটি থেকে বাদ দেন জাহাঙ্গীর।
এ কারণে বিক্ষুব্ধ নেতারা অনেক অভিযোগ তুলে জাহাঙ্গীরকে এখানে কেন আনা হয়েছে এ বিষয়ে উপস্থিত নেতাদের কাছে নালিশ তুলে ধরেন ছাত্রদলের নেতারা।
বিএনপি নেতা আঞ্জু নিজে হার্টের রোগী জানিয়ে নেতাকর্মীদের শান্ত হতে সবাইকে বার বার অনুরোধ করেন। পরে তাবিথ আউয়ালের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এর আগে সম্প্রতি ছাত্রদলের নেতারা গুলশানে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন।