জিএম কাদের বলেছেন, জাতির জনক কোন দল বা গোষ্ঠীর হতে পারে না। জাতির জনক সকল দলের, সকল মানুষের।
আজকে যারা রাজনীতি করছে, সকলের উচিত জাতির জনককে মেনে নিয়ে রাজনীতি করা। তার অবদানকে স্বীকার করেই রাজনীতি করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে এ দেশের সকল মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দেশ ও মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ অপরিসীম।
বঙ্গবন্ধু প্রতিপক্ষকে রাজনৈকিভাবে মোকাবিলা করেছেন কিন্তু কখনো শত্রুতা করেননি। প্রতিপক্ষের বিপদেও পাশে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু উদারতার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সকল প্রেরণার উৎস। তার জীবনী অনুসরণ করলে সকল সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। তিনি সকল অন্যায় ও অনিয়মের প্রতিবাদ করে গণমানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। তাই শক্তিশালী ও নির্যাতনকারী পাকিস্তানি সরকারের নির্দেশনা অমান্য করেও দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মেনে চলেছেন।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, জাতির জনকের প্রশ্নে কোন বিতর্ক নেই। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে কিংবদন্তি নেতা হয়েছেন। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নিবেদিত থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে শাহাদাত বরণ করেছেন।
বক্তব্য রাখেন কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা এমপি, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সাবেক মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আজম খান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন। সভা পরিচালনা করেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম।
বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর ইতিহাসে অনন্য নেতা। সারাবিশ্বে অনেক নেতার জন্ম হয়েছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাঁশের লাঠি নিয়ে ট্যাংকের সামনে দাঁড়িয়েছে বাঙালিরা। এটা নজিরবিহীন নেতৃত্বের প্রমাণ।
শনিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জিএম কাদের।