জামায়াতে ইসলামীর মতো বাংলাদেশের স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ ও সমাজ-প্রগতি বিরোধী দলের সাবেক নেতাকর্মীদের হাতে নতুন একটি দলের আত্মপ্রকাশ কখনোই সন্দেহের ঊর্ধ্বে যেতে পারে না বলে মনে করে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম।
গণমাধ্যমে পাঠানো সেক্টর কমান্ডরস্ ফোরাম- মুক্তিযোদ্ধা’৭১ এর প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম জেমস্ স্বক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ, মহাসচিব হারুন হাবীবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জামায়াতে ইসলামী থেকে বেরিয়ে আসা এবং দলটির বহিষ্কৃতদের সমন্বয়ে ২ মে ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’- এবি পার্টি নামের সংগঠনটি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ভয়াবহ করোনা মহামারির এ দুর্যোগপূর্ণ সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামী থেকে বেরিয়ে আসা ও বহিষ্কৃতদের সমন্বয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়াটি কখনোই একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক আচরণ বলে ভাবার সুযোগ নেই।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও সাবেক সচিব সোলায়মান চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং দল থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মন্জুকে সদস্য সচিব করে গত ২ মে ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’ নামের একটি নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, ‘অকার্যকর রাষ্ট্রের পুনর্গঠন’-এর উদ্দেশ্যে ‘নতুন রাজনীতির’ প্রয়োজনে দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেকোনো দল ও মতের মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের রাজনীতি চর্চার অধিকার রাখেন।
কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর মতো মুক্তিযুদ্ধ ও সমাজ-প্রগতিবিরুদ্ধ একটি দলের সাবেক নেতাকর্মীদের হাতে ভয়াবহ মহামারির সময়ে একটি দলের আত্মপ্রকাশ কখনোই সন্দেহের ঊর্ধ্বে যেতে পারে না। বিশেষত এই দলের প্রকাশ্য নেতাদের অনেকেই যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় শীর্ষ আভিযুক্তদের পক্ষে আইনি সহায়তার কাজে যুক্ত ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক এই নেতৃবৃন্দ সত্যিকারের বোধোদয় থেকে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে, নাকি কৌশলগত কারণে নতুন মোড়কে রাজনীতির মঞ্চে প্রবেশ করতে চাইছে, সে ব্যাপারে সকল সচেতন মহলকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।