৭ নভেম্বর পাঁচমিশালী সশস্র বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের তিন মাসের মাথায় জিয়া সকল শীর্ষ রাজাকারদের খুজে খুজে বের করে এনে মার্চ মাসেই মাঠে নামিয়ে দেন। তার এ কাজে অধিক তৎপর ছিলেন দ্বৈত নাগরিক এমজি তাওয়াব। তাওয়াব পাকিস্তান পাসপোর্টধারী জার্মান নাগরিক ছিলেন। ৭১ এ তিনি বৈবাহিক সুত্র ধরে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে জার্মানি গিয়ে পাকিস্তান বা বাংলাদেশে ফিরেননি। তাকে পাকিস্তানী অবস্থায় বাংলাদেশে এনে চাকুরীতে বহাল করা হয়।
সে সুত্রে তিনি বাংলাদেশী। স্বাধীনতা দিবস আগত হলে মন্ত্রী পরিষদ প্রেসিডেন্ট, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, উপ প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকদের জন্য যে ভাষণ বা বানী তৈরি করে তাতে পাকিস্তান শব্দটি বাদ দেয়া হয়, এমনকি হানাদার বাহিনী শব্দটি বাদ দেয়া হয়। কাদের সাথে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তাদের ভাষণ বা বাণী গুলোতে এর উল্লেখ নাই। এই যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে নিহত কোন শহীদ বা তার সংখ্যা উল্লেখ নাই। বিগত ৭১ এ কি ঘটেছিল তার কিছুই নাই কিন্তু লেখার মর্ম অনুযায়ী ধারনা করা যায় তারা ভারতের কাছ থেকেই যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে। দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়েছে। সে সকল অনুষ্ঠানেও পাকিস্তান, তাদের বর্বরতা, শহীদ এ গুলিকেও ঊহ্য রাখা হয়।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পত্রিকা সমূহ তেমন কোন আয়োজন করেনি। কোন ক্রোড়পত্র লক্ষ্য করা যায়নি। থাকলেও তাতে রাজাকারমনা মুক্তিযুদ্ধ লেখকের স্থান পায়।
মার্চ মাসে যে সকল বিদেশী এসেছে তাদের হেলিকপ্টারে করে পদ্মা নদী সফর করানো হয় ফারাক্কার প্রভাব দেখাতে। জাপানের দুত তাকাশি হাওয়া কাওয়া এদের অন্যতম। অহেতুক ভারত বিরোধিতা করতে করতে বাংলাদেশের সাথে ৭৫ এ সম্পাদিত ফারাক্কা চুক্তি অনুযায়ী পানি তারা দিচ্ছিল না। এর জন্য দরকার ছিল তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। অবশ্য অনেক জল ঘোলা করে শেষতক আরেকটি চুক্তির মাধ্যমে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।
জিয়া এ সময় ন্যাপ (ভাসানী)কে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে মাঠে নামান। সামরিক আইনে রাজনীতির সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও তারা প্রকাশ্য রাজনীতি করছিল। ৭১ এর প্রতিরোধ নামে তারা একটি সেমিনার আয়োজন করে। তাদের ভাষা ছিল স্বাধীনতা তারাই এনেছে তবে ৭১ এ নয় ৭৫ এ তারা স্বাধীনতা এনেছে। এ স্বাধীনতা নস্যাৎ করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেন। তাদের সমাবেশের বক্তা ছিলেন ক্যাপ্টেন হালিম, লেঃকঃ আকবর হোসেন, রাশেদ খান মেনন, কাজী জাফর, সাংবাদিক কামাল লহানি, মান্নান ভুইয়া, হায়দার আকবর খান রনো। তারা তাদের দালালীর পুরস্কার পেতে বেশী দেরী হয়নি। আকবর, হালিম, জাফর মন্ত্রী হন মেনন এমপি হন, মান্নান ভুইয়া নেতা হন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এদিন এক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগন ও সরকারের জন্য বানী দেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment