বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা টিভি চ্যানেল আমরা দেখতে চাইনি।
এখন দেখতে হচ্ছে কেন? আল-জাজিরা টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে যা (অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’র মেন ALL THE PRIME MINISTER’S MEN শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন গত ১ ফেব্রুয়ারি সম্প্রচার ও প্রকাশ করা হয়) প্রকাশ করা হয়েছে, তা বাংলাদেশের দুর্নীতির চিত্রের এক হাজার ভাগের এক ভাগ।
সরকার স্বভাবসুলভভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এ প্রতিবেদনটির প্রতিবাদ জানায়। তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে, আল-জাজিরার প্রতিবেদন সত্য নয়।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেগম জিয়ার কারাবন্দি জীবনের ৩ বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত কেন্দ্রঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আমি বারবার বলছি, আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে রাজপথ ছাড়বো না। আমাদের কথায় নয় কাজেই প্রমাণ করতে হবে। রাজপথ আমাদের দখলে নিতে হবে। রণাঙ্গনের সকল পথ ঘাট জনগণের দখলে নিতে হবে।
তিনি বলেন, এই সরকারকে ঘর থেকে বের হওয়ার পথ তৈরি করতে হবে। ঘরে বসে বসে তারা প্রতিদিন আবোল-তাবোল কথা বলছে। মানুষকে অবজ্ঞা ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলা তাদের রোগে পরিণত হয়েছে। কারণ তাদের ভোটের প্রয়োজন হয় না, তাদের জনগণের সমর্থন লাগে না।
বেগম খালেদা জিয়া কোনো অন্যায় করেননি দাবি করে তিনি বলেন, তিনি কোনো টাকা আত্মসাৎ করেননি। তার সম্পদের হিসাব দিয়েছিল। তারপরও কেন তাকে কারাগারে দেওয়া হলো? কারণ, আরেকটি দেশের তাবেদারী করতে হলে খালেদা জিয়াকে বন্দী করতে হবে, তিনি মুক্ত থাকলে তাবেদারী করা যাবে না।
গয়েশ্বর বলেন, গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্র তৈরি করতে গেলে তিনি (খালেদা জিয়া) বাইরে থাকতে পারেন না। বাংলাদেশে দুর্নীতির অভয়ারণ্য তৈরি করতে হলে খালেদা জিয়াকে জেলে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছিলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করে ছিলেন। একটি গণতান্ত্রিক দেশ দেখার জন্য। ওই গণতান্ত্রিক দেশে জিয়াউর রহমানের সৈনিক, খালেদা জিয়ার অনুসারী ও তারেক রহমানের সহকর্মী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব জনগণের পাশে থেকে, অধিকার ফিরিয়ে আনা। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কথা বলে লাভ হবে না। এটি একটি প্রতারক কমিশন। এরা জনগণের সাথে প্রতারণা ও ঠাট্টা-মশকরা করছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরো রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।