সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন সিসিকের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ কাউন্সিলর।
এ অভিযোগে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের ৩৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২২ জন কাউন্সিলর স্বাক্ষর করেছেন।
আজ বুধবার দুপুরে এ অভিযোগপত্রটি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরীর কাছে জমা দেবেন কাউন্সিলররা।
এছাড়া স্বাক্ষরিত অভিযোগের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও মেয়রের একান্ত সচিব বরাবরে দেওয়া হবে।
এ ব্যপারে কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান জানান, বাংলাদেশ সরকার যখন স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা, সবার অংশগ্রহণে জনকল্যাণমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তখনই লক্ষ্য করা গেছে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাধারণ সভায় উপস্থাপন ও আলোচনা না করে বর্তমান পরিষদকে উপেক্ষা করে পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই দক্ষিণ সুরমা এলাকার তেঁতলী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর মৌজায় জায়গা অধিগ্রহণ করেছেন।
সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বিষয়টি তদন্ত পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক। বিষয়টি বিবেচনা পূর্বক তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষ মেয়রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তারা।
এদিকে অপর একটি সুত্র জানিয়েছে, সিসিকের এসপল্ট প্লান্ট নির্মানের জন্য তেঁতলী ইউনিয়নে বর্তমান পরিষদকে না জানিয়ে ২৭ কেদার (৪১০ শতক) ভূমি ২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা অধিগ্রহণ ব্যয় দেখিয়েছেন মেয়র। যা নিয়ে মাসিক সভা কিংবা কাউন্সিলরদের সাথে কোন আলোচনা করেন নি।
এছাড়া, খাদিমপাড়ায় সিসিকের ৩ একরের অধিক যায়গা মানুষের দখলে রয়েছে। সেটি উদ্ধারে মেয়র কোন উদ্যোগ না নিলেও ২৪ কোটি টাকার নতুন যায়গা কিনতে ব্যয় করেছেন। সেটিও কাউন্সিলরদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।