বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই। এই মুক্ত বাংলাদেশের জন্য, যেখানে যেটা প্রয়োজন আমরা সেটাই করব।
দয়া করে আপনারা আমাদের প্রতিপক্ষ হবেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কাছে আমাদের অনুরোধ।
নিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আলাল বলেন, আপনারা বাংলাদেশ পুলিশ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের গর্বিত সদস্য। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের অবদান রয়েছে। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের আপনাদের অবদান রয়েছে।
আপনারা তাহলে কেন উল্টো পথে চলতে চাচ্ছেন? এটা আমাদের বড় কষ্ট লাগে। এই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের অসংখ্য জনগণ রয়েছে। এই জনগণের মধ্যে কারো না কারো আত্মীয় বড় অফিসার রয়েছে।
আবার কোনো না কোনো বড় অফিসারের আত্মীয় এই আওয়ামী লীগ সরকারকে পছন্দ করে না। তাই বলে কি সবাইকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে?
তিনি বলেন, আজ দেখলাম এই সমাবেশে আসার সময়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাইয়েরা পথে পথে আমাদের আটকাচ্ছেন, সমাবেশে আসতে নিষেধ করছেন। পল্টন মোড়ে আটকাচ্ছেন, সমাবেশের চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছেন। কাউকে বাসে উঠতে দিচ্ছেন না।
আর ইরফান সেলিমের বাসা থেকে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে, র্যাব দিয়ে মদ, অস্ত্র উদ্ধার করলেন। ওই মামলায় তাকে মুক্তি দিয়ে দিলেন। এভাবে বিচার করলে মানুষের মনের মধ্যে যে ভক্তি ও সম্মান সেটা ধরে রাখার কষ্ট হয়ে যায়।
দেশে আজ যে দুই রকমের আইন চলছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও গণতন্ত্রকে সুবর্ণ করে নাই। গণতন্ত্রকে বিবর্ণ করে দিয়েছে। এবং এই বিবর্ণ গণতন্ত্র দিয়ে দেশ চলতে পারে না। দেশের বর্তমান যে অবস্থা, এই অবস্থা দেখার জন্য দেশ স্বাধীন হয় নাই।
সমাবেশে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম সরোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সহসভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, সহ দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।