বিএনপি দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের নিশ্চয়তা চায় দাবি করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, কথা বলার অধিকার চাই।
দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার গ্যারান্টি চাই। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই। শুধু এতোটুকু কথা বলার জন্য আজকে এখানে এসেছি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লেখক সাংবাদিক মুশতাক আহমেদ এবং সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা আজকে একটা প্রতিবাদ সভা করছি। প্রতিবাদ সভা কিসের জন্য? আমরা আমাদের কথা বলার অধিকার চাই। আমাদের স্বাধীকার চাই। দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার গ্যারান্টি চাই। আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এত ভয় কিসের? কাকে এত ভয়? যাকে ভয় পাবেন, তাকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করে আটকে রেখেছেন, তিনি হলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যাকে ভয় পাচ্ছেন সে তারেক রহমান। তিনি বিদেশে প্রবাসে আছেন।
যাকে ভয় পাচ্ছেন তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি আমাদের মাঝে নেই। তবুও আপনাদের মাঝে কেন এত ভয়। আমি বুঝতে পারি না।
কী জন্য এত ভয়? খালেদা জিয়া যদি জেলের বাইরে থাকত দেশের চেহারা এমন হতো না। তারেক রহমান যেদিন ফেরত আসবেন, দেশের চেহারা অনেক ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।
জিয়াউর রহমান মানুষের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছে জিয়াউর রহমান। সংবাদপত্রের কথা বলার সুযোগ দিয়েছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। আমার সামনে অনেক সাংবাদিক ভাইয়েরা আছেন।
এত সাংবাদিকদের চাকরি হওয়ার কথা না। বাকশাল থেকে বের করে এনে আওয়ামী লীগের জন্ম ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছে এই বিএনপি। তার ফলে আজকে হাজার হাজার সংবাদপত্র। হাজার হাজার পত্রিকা, শত শত হাজার হাজার লেখক, কলামিস্ট।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামের একটি প্রোগ্রামে আমি বলেছিলাম কিশোরসহ আরো কয়েকজন সাংবাদিক আটক আছেন।
এদের ডিজিটাল আইনের জন্য আটকানো আছে। কিসের ডিজিটাল আইন? ডিজিটাল বাংলাদেশ বলেন ভালো কথা। ডিজিটাল আইনটা কিসের? ডিজিটাল অ্যাক্টে আইনে আমাদের জেলে যেতে হবে। আমরা কথাই বলতে পারবো না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আরও শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা একজন একজন করে লক্ষ কোটি লোকারণ্য হয়ে স্বৈরাচারী এই সরকারের পতন ঘটাবো।
যুবদলের গত সভা থেকে যুবদলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের বহু নেতাকে গ্রেফতার করে কারাগারে দিয়েছে। কারাবন্দিদের মুক্তি চাই না। আমরা সমস্ত কারাবন্দিদেরকে মুক্তি করব ইনশাল্লাহ।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের যুগ্ন মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি গোলাম সারওয়ার, আসাদুজ্জামান নেছার প্রমুখ।
ঢাকা, ২৪ আগস্ট ২০২৫: পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. ফাইজুর…
বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের…
"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড"…
আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের…
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
Leave a Comment