মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে লোমহর্ষক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, তা সমস্ত জাতি শুধু নয়, আমার মনে হয় সমস্ত বিশ্ববিবেককে নাড়া দিয়েছে।
শুধু নোয়াখালীর ঘটনা নয়, গত কয়েক মাসে আপনারা লক্ষ করেছেন, ধর্ষণের মহোৎসব শুরু হয়েছে। নারীর শ্লীলতাহানি, নারীর ওপর নির্যাতন- এটা এখন এই অবৈধ সরকারের নিয়মিত ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, শুধু তাই নয়, অর্থনীতি আজ ধ্বংসের মুখে। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নাই।
আজকে এই দেশে সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় আছেন আমাদের মা-বোনেরা। প্রতি মুহূর্তে তাঁরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার ক্ষমতায় থাকার সকল অধিকার হারিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আজকে আমরা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি এবং ভাবি মানুষের স্বাধীনভাবে বসবাস করা উচিত, তারাই পারবে একমাত্র এই সমস্যার সমাধান করতে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, কৃষকদলের সদস্যসচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কয়েক শ নেতাকর্মী।