আজ সোমবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের আয়োজনে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায়’ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘সিলেটের এমসি কলেজে একটা ঘটনা ঘটছে, খুবই দুঃখজনক ঘটনা, লজ্জা ও নিন্দনীয় ঘটনা, আমার এক বোনের উপর পাশবিক নির্যাতন করেছেন ওখানে। কয়েকজন ছাত্র। কোন দলের সেটা প্রমাণ দিতে চাই না। এটা নিয়ে আমাদের বিভ্রান্তি আছে।
তিনি বলেন, কেউ বলছে বর্তমান ছাত্রলীগ, কেউ বলছে ছাত্রদলের, সেটা যে দলেরই হোক না কেন? আমার যদি সুযোগ থাকতো, আমি এটাই বলতাম, এদেরকে বিচারের কাঠগড়া নয়, এদেরকে সরাসরি ক্রসফায়ার দিয়ে বিচার করা উচিত ছিল। তারপরও আমি মনে করি এই ধরনের পশু, এরা কোনো মানুষের পর্যায়ে পড়ে না। যারা এই ধরণের পাশবিক নির্যাতন করে একজন মা ও বোনকে বেঁধে রেখে। এদের সঙ্গে পশুর কোনো পাথক্য নেই।
পশুদের অহেতুক বিচারের আওতায় কাঠগড়ে আনা-আনি না করে, এদেরকে ধরে সরাসরি ক্রসফায়ার দেয়া হউক। হানিফ বলেন, ‘যদিও আমরা ক্রসফায়ারের বিরুদ্ধে। আমরা বিনা বিচারে হত্যার বিরুদ্ধে। দেশের এখন দুর্নীতি ও নারী নির্যাতনের মহামারি চলতে’-বিএনপি নেতাদের এমন বত্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি বলবো না দুর্নীতি বাংলাদেশে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্নীতি তো আপনারা হাওয়া ভবন খোলার পরে চালু করেছিলেন।
আমরা দুর্নীতিকে ধরছি। অভিযান চলছে, এখন আপনারা বলছেন দুর্নীতি হচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে যদি আপনাদের কথা হয় তাহলে ধরেই নিতে হবে ‘দুর্নীতির পক্ষে আপনাদের অবস্থান’।
রাষ্ট্রীয়ভাবে আপনারা দুর্নীতির দোকান খুলে বসে ছিলেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশের কোনো প্রকল্পেই কমিশন না দিয়ে কাজ করতে পারেননি। আপনারা দুর্নীতিকে প্রশাসন ও মন্ত্রণালয়ের শিকড় ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সেই শিকড়গুলো কাটছেন। আপনারা দুর্নীতিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, যার জন্য সেই সময় এতো প্রকাশ্যে আসেনি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি জোট আমলে মাহিমা, ফাহিমা, পূর্ণিমাসহ শত শত মা বোনকে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ করেছিল ছাত্রদলের ক্যাডাররা। বিচারহীন সংস্কৃতি বিএনপি আমলের। আমরা দল দেখছি না। অপরাধী যেই হোক বিচার করছি। শাস্তি দিচ্ছি। কিন্ত বিএনপির এমন কোন নজির নেই। শেখ হাসিনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করছেন। কাউকে ছাড়া হচ্ছে না। অপরাধী যেই হোক শাস্তি পেতেই হবে।