ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরূদ্ধে বাংলাদেশ এর ধর্ষণ বিরোধী গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখ বিকাল ৪ টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এই গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স ও সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাসুদ রানা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দিলরুবা নুরী, সিপিবি নারী সেলের সংগঠক অ্যাডভোকেট মাকসুদা আক্তার লাইলী, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, নারী সংহতির সংগঠক অপরাজিতা চন্দ্র, চারণ সংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংগঠক জাকির হোসেন, প্রীতিলতা ব্রিগেডের সংগঠক আসমানী আশা, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংগঠক উর্মী জ্যোতি পাল।
বক্তারা সমাবেশে বলেন, গত অক্টোবর মাস থেকে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরূদ্ধে বাংলাদেশের ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে। একদিকে একটি দমনমূলক সরকার দেশের ক্ষমতায় আসীন রয়েছে, তারা তাদের জোর বজায় রাখতে অনবরত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় সেই সরকারের তাবেদাররাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও নিপীড়নের সাথে যুক্ত হয়ে আছে। আমাদের বিচার ব্যবস্থার যে বেহাল দশা, এতে যদি কেউ ধর্ষণের শিকারও হয়, সে আরও ১০ বার লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়েই বিচার না চেয়ে এড়িয়ে যায়। অন্যদিকে অভিযুক্তরা পুলিশ, আদালত, আইনের ক্ষমতাবলে ভয় দেখিয়ে বা আপোষ করে শাস্তি থেকে বেঁচে যায়। পত্রপত্রিকায় যে পরিসংখ্যান দেখা যায়, তা প্রকৃত চিত্রের খুবই সামান্য একটি অংশ। এলাকায় এলাকায় স্কুল নেই, পাঠাগার নেই, সংস্কৃতির চর্চা নেই, কিন্তু মাদক আছে, পর্ণোগ্রাফি আছে।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, একজন গার্মেন্টস এর নারী মালিক এবং নারী শ্রমিক, তাদের দুজনের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। কিন্তু সমাজে নিপীড়নের যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে তারা এই জায়গায় একইভাবে নিপীড়িত। মালিক যতটা নিপীড়িত, শ্রমিক আরও বেশি নিপীড়িত। বাঙালি নারী নিপীড়িত, আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী আরও বেশি নিপীড়িত। তাই আজকে এই আন্দোলনকে সাংগঠনিক ভাবে আরও বেশি জোরদার করতে হবে, তার জন্য রাষ্ট্রের জবাবদিহি যেমন দরকার, তবে রাষ্ট্রের দিকে চেয়ে বসে থাকলে চলবে না। তাদের একটা শক্তি আছে, সেই শক্তি দিয়ে তারা এইসব ঘটনার মদদ দেয়। জনগণকে তার পাল্টা সামাজিক রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে নাসির উদ্দিন প্রিন্স বলেন, “ধর্ষণের যে মনস্ত্বত্ব এই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে, তার বদল ঘটাতেই এই আন্দোলন একটি বৃহত্তর আন্দোলনের রূপ নেবে। প্রতি জেলায় জেলায় মানুষকে সংগঠিত করতে হবে, মানুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। সেই লক্ষ্যে ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরূদ্ধে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে সামনে।”
সমাবেশ শেষে সমাবেশের সভাপতি নাসির উদ্দিন প্রিন্স জেলায় জেলায় ধর্ষণবিরোধী সমাবেশ, বিভাগীয় শহরে ধর্ষণবিরোধী কনভেনশন এবং আগামী মে মাসে ধর্ষণ ও বিচারহীনতা বিরোধী জাতীয় কনভেনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment