পদ থেকে কেন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার কারণ জানেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির সদ্য পদ হারানো মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি বলেন, আমাকে কেন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তা জানি না। তবে এ বিষয়ে পার্টির ‘চিফ প্যাট্রন’ রওশন এরশাদের সঙ্গে একটু আগে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন ওয়েট অ্যান্ড সি।
মহাসচিব পদ হারানোর পর এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন রাঙ্গা। এর আগে আজ এক বিবৃতিতে জাপার মহাসচিব পদ থেকে রাঙ্গাকে সরিয়ে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে নিয়োগ দেন জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
রওশন এরশাদ বলেছেন, তিনি নিজেই খুব অসুস্থ। এই মাত্র সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে এসেছেন। বিষয়টি তিনি দেখবেন।
তাকে মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় সারা দেশের নেতাকর্মীরা প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত উল্লেখ করে রাঙ্গা বলেন, সকাল থেকে কম হলেও হাজার খানেক ফোন আমার কাছে এসেছে। তারা ক্ষুব্ধ। তবে চেয়ারম্যান যা ভালো মনে করেছেন, তা-ই করেছেন। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই।
জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ‘বিকলাঙ্গ’ কাউকে দলের মহাসচিব হিসেবে মেনে নিতে চায় না দাবি করে রাঙ্গা বলেন, তবে একটা বিকলাঙ্গ, ডিজেবল (নিষ্ক্রিয়) মহাসচিব, এটা কেউ মেনে নিতে চায় না।
আমাদের দলে (জাতীয় পার্টি) চেয়ারম্যানকে সর্বময় ক্ষমতা দেওয়া আছে। দলের ২০ ধারা মোতাবেক চেয়ারম্যান যা ইচ্ছে তা-ই করতে পারেন। আমার ক্ষেত্রেও চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের তা-ই করেছেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় আমাকে সরিয়ে দেওয়ার একটা চিঠি দেখেছি।
বাবলু ভাইও একসময় মহাসচিব ছিলেন, মন্ত্রী ছিলেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন খুশি তখন বাদ দিয়েছেন। আবার যখন খুশি তখন নিয়োগ দিয়েছেন। আমাদের দলটাই এরকম।
নির্বাচিত মহাসচিব উল্লেখ করে রাঙ্গা বলেন, আমি কাউন্সিলে নির্বাচিত মহাসচিব। আমাকে বাদ দিতে হলে তো কাউন্সিল হওয়া লাগে, অথবা একটা শোকজ নোটিশও দিতে পারতো। কিন্তু কিছুই করা হয়নি।
আমি কর্মীদের পক্ষে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথাবার্তা বলেছি, কেউ এরশাদ সাহেব সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করলে ছাড় দেইনি। সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিয়েছি। এসব কারণে কাউন্সিলে নেতাকর্মীরা আমাকে সমর্থন দিয়ে মহাসচিব নির্বাচিত করেছে। আমার বিপক্ষে কোনও প্রার্থীও ছিল না।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর দলের নবম কাউন্সিলের আগে দলের মধ্যে দুটি গ্রুপ ছিল। রওশন এরশাদ-পন্থী ও জিএম কাদের-পন্থী। এই দুই গ্রুপই আমাকে মহাসচিব নির্বাচিত করেছিল। এখন হঠাৎ করে কেন আমাকে বাদ দেওয়া হলো, তা ঠিক বুঝলাম না। জিএম কাদেরের সঙ্গে কথা না বলা পর্যন্ত বাদ দেওয়ার কারণ জানা যাচ্ছে না।
মহাসচিব পদ হারানো নিয়ে আক্ষেপ করে রাঙ্গা বলেন, দুঃখ হয় একটা জায়গায়, এই দলে কেউ কিছু করতে চায় না। কারণ, দলে চেয়ারম্যানকে এতবেশি অধিকার দেওয়া থাকে যে মনে হয় দলটা তার তৈরি করা দল। একইভাবে দলের গঠনতন্ত্রটা তৈরি করা আছে। যেটা এরশাদ তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজে দল তৈরি করেছেন, নিজেই খরচ করেছেন সেটা ঠিক আছে।
কিন্তু সেটা সবার (সব চেয়ারম্যান) জন্য প্রযোজ্য নয়। তাহলে আর কাউন্সিল করার দরকার কী ছিল। তিনি (জি এম কাদের) তার পছন্দের মত লোককে পদে বসিয়ে দিলে তো হতো। যদিও হয়েছে তা-ই।
রাঙ্গা আরও বলেন, আমি কাউকে দলে পদ দেইনি। চেয়ারম্যানই (জি এম কাদের) সবাইকে পদ দিয়েছে। কে প্রেসিডিয়াম সদস্য হবে, কে কো-চেয়ারম্যান হবে, সবই তিনি ঠিক করেছেন। দুইশ’ জনের জায়গায় ৬শ’ সদস্য করা হয়েছে। দুই-চার জন সব সময় চেয়ারম্যানকে পরামর্শ দেন। তারা সব সময় দলের এগিয়ে যাওয়ায় বাধা সৃষ্টি করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment